ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত জুমচাষীর পাশে দাঁড়ালো সেনাবাহিনীর আলীকদম জোন

ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত জুমচাষীর পাশে দাঁড়ালো সেনাবাহিনীর আলীকদম জোন

ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত জুমচাষীর পাশে দাঁড়ালো সেনাবাহিনীর আলীকদম জোন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলায় ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত এক জুমচাষীর চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার বহন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর আলীকদম জোনের এই মানবিক সহায়তা স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতার সুর তুলেছে।

জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের মেনতুই পাড়ার হতদরিদ্র জুমচাষী তনরাও ম্রো (৪০) কলা বাগানে কাজ করার সময় আকস্মিকভাবে একটি বন্য ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার হন। এতে তাঁর একটি চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করান।

১১ দিন হাসপাতালে থাকার পর চিকিৎসার ব্যয় যখন অসহায় তনরাও ম্রোর সাধ্যের বাইরে চলে যায়, তখন তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরিচিতদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে এবং সহায়তা চেয়ে কিছু অর্থ জোগাড় করলেও চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে পারেননি। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিতেও দেখা দেয় জটিলতা।

ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত জুমচাষীর পাশে দাঁড়ালো সেনাবাহিনীর আলীকদম জোন

এমন সময় বিষয়টি আলীকদম সেনা জোনের নজরে আসে। আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জোন অধিনায়কের নির্দেশে গজালিয়া আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধ করে দেন এবং তনরাও ম্রোকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

সেনাবাহিনীর এ সহযোগিতায় উঠে দাঁড়ানোর নতুন আশা পেয়েছেন আহত জুমচাষী ও তার পরিবার।

এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর এই মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

গজালিয়া আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার বলেন,

“আলীকদম সেনা জোন সবসময় অসহায় মানুষের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের দায়িত্ব শুধু নিরাপত্তা দেওয়া নয়— পাহাড়ি অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতি শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

তনরাও ম্রো ও তার পরিবার সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন— “যদি তারা পাশে না দাঁড়াত, আমরা হয়তো চিকিৎসা শেষ করতে পারতাম না। আজ বেঁচে থাকার নতুন ভরসা পেলাম।”

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed