মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড, বিজিবির তৎপরতায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল থানচির বলিপাড়া বাজার

মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড, বিজিবির তৎপরতায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল থানচির বলিপাড়া বাজার

মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড, বিজিবির তৎপরতায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল থানচির বলিপাড়া বাজার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলায় মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুর্গম বলিপাড়া বাজারের অন্তত ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি)-এর দ্রুত ও সাহসী পদক্ষেপ না থাকলে পুরো বাজারই আগুনে ভস্মীভূত হতে পারত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ২টার দিকে বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন বলিপাড়া বাজারের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড, বিজিবির তৎপরতায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল থানচির বলিপাড়া বাজার

পরিস্থিতি দ্রুত ভয়াবহ রূপ নিলে ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক বিজিবি সদস্য আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন।

প্রায় দেড় ঘণ্টার নিরলস প্রচেষ্টায় ভোর পোনে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা। ততক্ষণে ১০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং ৩টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবুও পুরো বাজারকে রক্ষা করা গেছে—যা স্থানীয়দের ভাষায় “বিজিবির দ্রুত পদক্ষেপের সুফল।”

মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড, বিজিবির তৎপরতায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল থানচির বলিপাড়া বাজার

ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম তদারকি করেন বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ জহিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন—

“রাতের কোনো মুহূর্তেই আমরা পিছপা হইনি। জনগণের নিরাপত্তা ও তাদের সম্পদ রক্ষাই আমাদের দায়িত্ব। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আমাদের সদস্যরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছে।”

অগ্নিকাণ্ডে কোনো বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন—এটি তাদের জীবিকার এক বড় আঘাত। দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনে সরকারি সহায়তার আশা করছেন তারা।

মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড, বিজিবির তৎপরতায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল থানচির বলিপাড়া বাজার

এদিকে স্থানীয়রা বিজিবির সময়োচিত ভূমিকা ও মানবিক সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন। তাদের মতে— “বিজিবির সদস্যরা যদি সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে না পড়তেন, বাজারের কিছুই থাকত না।”

অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

ঘটনাস্থলে মানুষের প্রাণ ও সম্পদ বাঁচাতে বিজিবির সাহসী উপস্থিতি—আরও একবার প্রমাণ করলো সীমান্তে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনগণের দুর্যোগে পাশে থাকা তাদের ঐতিহ্য।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed