আসামে মুসলিম জনগোষ্ঠীর আর্থিক সক্ষমতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে- মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
![]()
নিউজ ডেস্ক
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিস্বা শর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর আর্থিক সক্ষমতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর সঙ্গে জনসংখ্যাগত ধারা পরিবর্তনের বিষয়টিও যুক্ত হয়ে একটি নতুন সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করছে। রবিবার গৌহাটিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেন, ২০০১ থেকে ২০১১ সালের সরকারি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, বিপরীতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর দাবি, এই পরিবর্তন আসামে “আসামি জনগণের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার শুরু হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, রাজ্যে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও অসমতামূলক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। হিন্দুদের কাছ থেকে মুসলিমদের জমি ক্রয়ের হার বেশি, বিপরীতে মুসলিমদের থেকে হিন্দুদের জমি ক্রয়ের হার খুবই কম। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে এই কেনাবেচা আসামি ও স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের কোনও আপত্তি নেই।”
মুখ্যমন্ত্রী শর্মার বক্তব্য অনুযায়ী, পরিবর্তন শুধু জনসংখ্যার সংখ্যাতেই নয়, অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রেও চোখে পড়ছে। তিনি বলেন, “এতদিন আমরা ভেবেছিলাম পরিবর্তন কেবল সংখ্যার; এখন দেখা যাচ্ছে সম্পদ সৃষ্টির ধরণও বদলে গেছে।”
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ও বিশ্লেষণসহ শিগগিরই একটি আলাদা সংবাদ সম্মেলন করবেন। উল্লেখ্য, গত বছর আসাম সরকার হিন্দু-মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পূর্বানুমতি বাধ্যতামূলক করে।
প্রসঙ্গত, আসামে জনসংখ্যাগত ভারসাম্য ও ভূমি অধিকারের প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।