কাউখালীতে সেনাবাহিনী আয়োজিত চিকিৎসা ক্যাম্পে যেতে স্থানীয়দের বাধা দিল ইউপিডিএফ, স্থানীয়দের ক্ষোভ

কাউখালীতে সেনাবাহিনী আয়োজিত চিকিৎসা ক্যাম্পে যেতে স্থানীয়দের বাধা দিল ইউপিডিএফ, স্থানীয়দের ক্ষোভ

কাউখালীতে সেনাবাহিনী আয়োজিত চিকিৎসা ক্যাম্পে যেতে স্থানীয়দের বাধা দিল ইউপিডিএফ, স্থানীয়দের ক্ষোভ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আয়োজিত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক উপজাতি সশস্ত্র সংগঠনের ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের বাধার কারণে শতাধিক হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সচেতন মহল এই ঘটনাকে “মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টায় কাউখালী আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে ঘাগড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হারাঙ্গিপাড়া এলাকায় মানবিক চিকিৎসা সেবা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। ক্যাম্পে উপস্থিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি জনগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করার কথা ছিল।

কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপিডিএফে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে ক্যাম্পে না যেতে হুমকি প্রদান করে। ফলে দুর্গম পাহাড়ের কোনো রোগীই চিকিৎসা নিতে উপস্থিত হতে পারেননি। এতে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী গভীর হতাশায় পড়েছেন।

স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত স্থানীয় উপজাতি এক নারী আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা গরীব মানুষ, শহরে গিয়ে চিকিৎসা করানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব। সেনাবাহিনী ডাক্তার নিয়ে গ্রামে এসেছে শুনে সবাই যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু ইউপিডিএফ কর্মীরা কড়া হুমকি দেয়—যদি চিকিৎসা নিতে যাই, তাহলে শাস্তি পেতে হবে।”

গ্রামের একজন কার্বারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ছিল সম্পূর্ণ মানবিক। কিন্তু ইউপিডিএফ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। এটি শুধু অমানবিকই নয়, পাহাড়ের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যও বড় হুমকি।”

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল বলেন, ইউপিডিএফের এই আচরণ মানবাধিকারবিরোধী এবং পাহাড়ের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করার অংশ। তারা দ্রুত সরকার ও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে পাহাড়ি-বাঙালি সাধারণ মানুষ নিরাপদ পরিবেশে চিকিৎসা ও মৌলিক সেবা গ্রহণ করতে পারে।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য অঞ্চলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং মানবিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed