মণিপুরে জঙ্গি সংগঠনের চার সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার, বিভিন্ন জেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগ
![]()
নিউজ ডেস্ক
মণিপুর পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধারাবাহিকভাবে চাঁদাবাজি ও চাঁদা সংগ্রহে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর ইম্ফল পশ্চিম জেলার মায়াং ইম্ফল থানার সেকমাইজিন থোংগাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রিপাক (প্রো) সংগঠনের কথিত সার্জেন্ট মেজর থোংগাম আনন্দ সিং ওরফে একু (৩৩) কে আটক করা হয়। তিনি কাচিং জেলায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। তার কাছ থেকে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
একই দিনে থৌবাল জেলার ইয়াইরিপোক কাকমাইয়াই মানিং লেইকাই এলাকা থেকে আরেক অভিযানে আরপিএফ/পিএলএ সংগঠনের কথিত ল্যান্স কর্পোরাল থোকচম বিজয় সিং ওরফে ভোপেন, বাইক, তায়াই, খেদা (৫৬) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বিষ্ণুপুর জেলার থিনুংগেই আওয়াং লেইকাই এলাকার বাসিন্দা। সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ আদায়ের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার কাছ থেকেও একটি মোবাইল ফোন ও দুটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
পরে ১১ নভেম্বর জিরিবাম জেলার জিরিবাম থানার আওতাধীন দিবং সানাখং এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরপিএফ/পিএলএ সংগঠনের আরও দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন শান্তোষ বোরো (৩০) ও হোদাম (ও) মোরোমি দেবী (৩১)। এ দুজন স্থানীয় বেসরকারি স্কুলগুলো থেকে অর্থ আদায়ে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সংগঠনের অর্থ সংগ্রহ নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য সহযোগীদের সন্ধানে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মণিপুর জুড়ে পুলিশের একের পর এক অভিযানে প্রিপাক, আরপিএফ ও পিএলএসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা ধরা পড়ছে, যা রাজ্যে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।