দখলের খেলায় সুদানকে ভাগ করে নিলো সেনাবাহিনী ও আরএসএফ

দখলের খেলায় সুদানকে ভাগ করে নিলো সেনাবাহিনী ও আরএসএফ

দখলের খেলায় সুদানকে ভাগ করে নিলো সেনাবাহিনী ও আরএসএফ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

উত্তর আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ সুদান সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)-এর মধ্যে চলা টানা তিন বছরের যুদ্ধে ভয়াবহতম মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন শহর, পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি এবং ভয়ে পালানো মানুষের ভিড়ে পুরো দেশটি যেন এক বিশাল যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেছেন, এই যুদ্ধ কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং এটি একধরনের পাল্টাপাল্টি দখলের খেলা।

কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে এবং হারাচ্ছে। যেমন, ওয়েস্ট এল-ওবেইদের উম সুমেইমা শহর আরএসএফের কাছ থেকে আবার সেনাবাহিনীর দখলে এসেছে।

দেশের পূর্ব, উত্তর ও মধ্যাঞ্চল এখন সেনাবাহিনীর হাতে, যা প্রায় ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড। বাকি ৪০ শতাংশ আরএসএফ ও তাদের মিত্রদের নিয়ন্ত্রণে। দক্ষিণের ব্লু নাইল থেকে শুরু করে দারফুর পর্যন্ত চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

বিশ্লেষকরা দারফুরকে মানবতার কবরস্থান বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই অঞ্চলে গণহত্যা, লুটপাট ও নির্যাতনের অভিযোগে মুখর মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসেবে, শুধু এই অঞ্চল থেকেই ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছেন।

একসময় দেশের প্রাণকেন্দ্র খার্তুম এখন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। কিছু এলাকায় সেনারা ফিরলেও, শান্তি এখনো দূরের স্বপ্ন। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, দেশের অর্ধেক মানুষ এখন খাদ্য সংকটে। হাসপাতালগুলো ধ্বংস, স্কুলে নেই শিক্ষক, আর রাস্তায় পড়ে আছে হাজারো অচেনা লাশ। বিশ্লেষক মাশামউন আরও বলেন, সুদান এখন এক ভয়াবহ অচলাবস্থায়। শৃঙ্খলা নেই, নেই নেতৃত্ব। শুধু আছে ধ্বংস আর মৃত্যু।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed