পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর: বাস্তবায়নে অগ্রগতির দাবি সরকারের
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৮ বছর পূর্তি আগামীকাল ২ ডিসেম্বর। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় বহুল আলোচিত শান্তিচুক্তি, যা পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত-সংকট নিরসনে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
দীর্ঘ সহিংসতা, জাতিগত উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং জেএসএস-এর মধ্যকার আলোচনার ভিত্তিতে শান্তিচুক্তিটির জন্ম হয়। মোট ৭২টি ধারার সমন্বয়ে প্রণীত এই চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্ক থাকলেও সরকার দাবি করছে, চুক্তির বেশিরভাগ অগ্রগতি ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭২টি ধারার মধ্যে ৬৫টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত, ৩টি আংশিক বাস্তবায়িত, এবং ৪টি ধারা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। সরকারের মতে, এই বাস্তবায়নের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত হানাহানি ও সহিংসতার উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটেছে এবং অনগ্রসর পার্বত্য অঞ্চল উন্নয়ন ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের পথে এগিয়ে গেছে।
গত বছরের ২০ এপ্রিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের ২৩তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরে বলে যে, ১৯৯৭ সালের চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাতের অবসান ঘটেছে এবং সেখানে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণকে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সরকার আরও বলছে, স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, প্রশাসনিক কাঠামোর পরিবর্তন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া জোরদারের মাধ্যমে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।