বান্দরবানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বান্দরবানে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে এবং বান্দরবান সেনা রিজিয়নের সার্বিক সহযোগিতায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দিনের শুরুতে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম হাসানসহ প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সরকারি আয়োজনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) বান্দরবান জেলা কমিটির উদ্যোগে শহরের রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় গণসমাবেশ ও আলোচনা সভা। এতে জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শত শত নারী-পুরুষ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও পাহাড়ি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় আয়োজনটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন অপরিহার্য। তারা উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং চুক্তির অসম্পূর্ণ ধারাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
জেএসএস বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি সুমন মারমা, সহ সাধারণ সম্পাদক উ উইন মং জলিসহ অন্যান্য নেতারা বলেন, “শান্তিচুক্তি পাহাড়ে স্থায়ী শান্তির প্রধান ভিত্তি। উন্নয়ন ও সম্প্রীতির ধারা ধরে রাখতে সকল সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ সংঘাত নিরসনে সরকার ও জেএসএসের মধ্যে এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা বর্তমানে ৭২টি ধারার অধিকাংশই বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে বলে সরকারি সূত্র দাবি করে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।