‘সেনাবাহিনীর লক্ষ্য আপনাদের নিরাপত্তা’- বৌদ্ধবিহার উদ্বোধনে আলীকদম জোন অধিনায়ক
![]()
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলার দুর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নে নবনির্মিত কুরুকপাতা বৌদ্ধ বিহারের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে এলাকার শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন আলীকদম জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশিকুর রহমান আশিক।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা আপনাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান। তারা শিক্ষিত হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবদান রাখতে পারবে। আমরা এখানে আছি আপনাদের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। আপনারা কেউ ভেবে নেবেন না সেনাবাহিনী আপনাদের ক্ষতি করতে আসে—বরং আমাদের লক্ষ্য আপনাদের নিশ্চিন্ত রাখা।”
তিনি আরও বলেন, মায়ানমার সীমান্তসংলগ্ন হওয়ায় কুরুকপাতা এলাকায় অস্ত্র ও মাদকের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি সবসময়ই থাকে। এসব অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“এসব অস্ত্র একসময় আপনার বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হতে পারে, মাদক আপনার সন্তানকে বিপথে নিতে পারে। তাই সমাজের তরুণদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে আপনাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বড়,”—বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুরুকপাতা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নেপিউ ম্রো।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম জোনের উপ-অধিনায়ক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম রিমন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মার্মা-ম্রো জনগোষ্ঠীর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
জোন অধিনায়ক জানান, কুরুকপাতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গুলুপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকট রয়েছে। এসব এলাকায় সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে মোটরচালিত পানি উত্তোলনের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ভাঙা পাড়ায় নতুন স্কুল স্থাপন এবং দুর্গম পাড়াগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার বিস্তারে ছোট আকারের ঔষধের দোকান স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভান্তে, দায়ক-দায়িকা, স্থানীয় প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বৌদ্ধবিহার উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আলীকদম সেনা জোনের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত শীতার্তদের মাঝে কম্বল প্রদান এবং বৌদ্ধবিহারের উন্নয়নে জেলা পরিষদ ও সেনা জোনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও সামগ্রিক উন্নয়ন বজায় রাখতে সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক সহযোগিতা, মানবিক উদ্যোগ এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।