রামগড়ের দুর্গম পাহাড়ে বিজিবির মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত: বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও শীতবস্ত্র বিতরণ
![]()
নিউজ ডেস্ক
সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান দমনের পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যে ধারাবাহিক ও কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে, তার আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে খাগড়াছড়ির রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি)।
দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত গরীব, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ওষুধ বিতরণ ও শীতবস্ত্র সহায়তার মাধ্যমে বিজিবি আবারও প্রমাণ করেছে—তারা কেবল সীমান্তের প্রহরীই নয়, জনকল্যাণের নির্ভরযোগ্য সহযোদ্ধা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রামগড় ব্যাটালিয়নের সার্বিক দিকনির্দেশনায় রামগড় উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ১নং রামগড় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গরুকাটা এলাকায় এই মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ওই এলাকায় বসবাসরত গরীব ও অসহায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর দুই শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে শীত মৌসুমের কষ্ট লাঘবে দরিদ্র পাহাড়ি পরিবারগুলোর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

রামগড় ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আহসান উল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুস্থ এসব উপকারভোগীদের হাতে এসব শীতবস্ত্র তুলে দেন।
স্থানীয়দের জন্য এই মেডিক্যাল ক্যাম্প ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

দুর্গম ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমিত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে যেখানে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাওয়া কঠিন, সেখানে বিজিবির এই উদ্যোগ পাহাড়ি জনপদের মানুষের জন্য স্বস্তি ও আশার বার্তা হয়ে আসে। চিকিৎসা ও শীতবস্ত্র পেয়ে উপকৃত মানুষেরা বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কার্যক্রম চলাকালে রামগড় জোনের উপ অধিনায়ক মেজর ফারজিন ফাহিম ও মেডিক্যাল অফিসার মেজর অতসী দেবনাথ উপস্থিত থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করেন।

ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আহসান উল ইসলাম জানিয়েছেন, দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত গরীব ও অসহায় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক সম্প্রীতি জোরদার করতেই এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ নিয়মিত গ্রহণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও চিকিৎসা, ত্রাণ ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়দের মতে, পাহাড়ি অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বিজিবি স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন করছে, যা দীর্ঘমেয়াদে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) ইতোমধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক ও চোরাচালান রোধের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা, ত্রাণ ও সামাজিক উন্নয়নমূলক নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে একটি দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।