করোনা সংক্রমন ঠেকাতে বান্দরবানের ৩ উপজেলা ‘লক ডাউন’
 
                 
নিউজ ডেস্ক
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলাকে ‘লক ডাউন’ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। পার্বত্য এ জেলায় লক ডাউনের তিন উপজেলা হল-লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি। গত ২৪ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন এ ঘোষণা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শামীম হোসেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে প্রশাসনের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী কক্সবাজার জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ তিন উপজেলা কক্সবাজার জেলার থেকে প্রবেশ পথ রয়েছে।
এর আগে জেলা প্রশাসকের কাছে লামা ইউএনও নূর-এ জান্নাত রুমি এক চিঠিতে জানান, কক্সবাজার জেলায় করোনভাইরাস আক্রান্ত এক রোগী মারা যাওয়ায় লামা উপজেলার সাথে সংযোগ প্রবেশ পথে কক্সবাজার জেলার রামু, চকরিয়া উপজেলাসহ সীমান্তবর্তী কিছু সড়কপথ অরক্ষিত রয়েছে। এসব অরক্ষিত পথে যাতায়াত অবারিত থাকায় করোনাভাইসা দ্রুত সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে লামা উপজলাকে ‘লক ডাউন’ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারাদেশের মত বান্দরবানেও সেনা মোতায়েন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে টহল দিতে দেখা যায় সেনা সদস্যদের। টহলরত সেনা সদস্যরা মাইকিং করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। বান্দরবান সেনা রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর ইফতেখার জানান, শহর এলাকায় ৫টি সেনা পেট্রোল টিম টহলে থাকবে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা জানিয়েছেন, মহামারী করোনাভাইরাস ঠেকাতে চিকিৎসক ও নার্সদের পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) পর্যাপ্ত রাখা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস রোগ শনাক্তে যে কিটের প্রয়োজন সেগুলো এখনও হাসপাতালে নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, জেলায় ৫০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে ৬ জন, থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন এবং আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন। বাকী ৪১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে।
