কক্সবাজার উপকূলে রোহিঙ্গা বোঝাই আরও ২ ট্রলার ঠেলে দিল মিয়ানমার
নিউজ ডেস্ক
গত ২মাস ধরে সাগরে ভেসে থাকার পর ১৫ এপ্রিল বুধবার বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর পর এবার নতুন করে আরও প্রায় পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে দুটি ট্রলারকে সাগরে ভাসতে দেখা গেছে। আর তাদের মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ অভিমুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, করোনা মহামারির কারণে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে দুটি ট্রলারকে তাদের সীমানায় ঢুকতে দেয়নি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। ট্রলার দুটি গত ১৫ দিন ধরে মিয়ানমার জলসীমায় রয়েছে এবং মিয়ানমার নৌবাহিনী রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার দুটোকে বাংলাদেশ জলসীমার দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘ফরটিফাই রাইটস’ গত ১৭ এপ্রিল শুক্রবার, সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই দুটি ট্ররঅর ভাসছে এমন খবর দিয়ে বলেছে, ভাসমান নৌকাগুলো উদ্ধারের জন্য আঞ্চলিক সরকারগুলোর সমন্বিত চেষ্টা দরকার। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথু স্মিথ বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বল্প রসদপাতি দিয়ে নৌযানকে অনিশ্চিত সমুদ্রযাত্রায় ঠেলে দেওয়া বেআইনি এবং মৃত্যুদণ্ডের মতো। সংস্থাটি জানায়, গত ১৬ এপ্রিল দুই শতাধিক রোহিঙ্গাবোঝাই আরেকটি ট্রলার মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের জলসীমায় শনাক্ত করেছে। প্রয়োজনীয় রসদ দিয়ে ট্রলারটি গভীর সমুদ্রের দিকে ফেরত পাঠিয়ে দেয় বলে সংগঠনটির দাবি।
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল বুধবার রাতে টেকনাফ উপকূলে একটি ট্রলার থেকে ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা। দুই মাস আগে মালয়েশিয়ার দিকে রওনা দিয়েছিল তারা। মালয়েশিয়া তাদের সীমানায় ট্রলারটিতে ভিড়তে দেয়নি। পরে ট্রলারটি থাই উপকূলে ভেড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরপর মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়লে সে দেশের নৌবাহিনী রোহিঙ্গাবোঝাই ট্রলারটি বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় ঠেলে দেয়। কিন্তু এর আগেই অনাহারে অসুস্থ হয়ে ট্রলারে মারা গেছে অর্ধশত রোহিঙ্গা।
