কাপ্তাই হ্রদে অভিযান পরিচালনা কালে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষের উপর উপজাতি সন্ত্রাসীদের হামলা
![]()
নিউজ ডেস্ক
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই হ্রদে বিএফডিসি কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে মাছ শিকার করার অপরাধে জাল-নৌকাসহ এক শিকারীকে আটক করে রাঙামাটিততে নিয়ে আসার সময় উপজাতি একদল সন্ত্রাসী কর্তৃক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত ৪ঠা জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে রাঙামাটি শহরের অদূরে কাপ্তাই হ্রদের কাইন্দার মুখ এলাকায় এই হামলার শিকার হয়েছেন বলে রাতে নিশ্চিত করেছেন বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, এই ঘটনায় কেউ আহত নাহলেও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আটককৃত অবৈধ মাছ ধরাকারিসহ নৌকাসহ জাল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া সকলেই স্থানীয় উপজাতীয় সম্প্রদায়ের।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি শহরস্থ বিএফডিসি ঘাট থেকে লংগদু উপজেলায় গিয়ে সেখানে মাছের পোনা অবমুক্ত করে বিকেলে অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় কাইন্দার মুখ এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে প্রকাশ্যে মাছ ধরতে দেখে হ্রদে ফেলা জাল-নৌকাসহ এক পাহাড়ি ব্যক্তিকে আটক করি এবং হ্রদ থেকে জালটি বিএফডিসির বোটে তোলার সময় চারদিক থেকে ১০/১২টি নৌকায় করে ৩০/৪০ জন পাহাড়ি নারী-পুরুষ এসে আমাদের ঘিরে ফেলে। তাদের সকলের হাতেই বড় বড় ধারালো রামদা-কিরিচ ও দা ছিলো। ঘটনার আকস্মিকতায় বিএফডিসির ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাসহ সঙ্গে থাকা অপর কর্মকর্ত-কর্মচারিরা বেশ আতংকিত হয়ে যান। এসময় সন্ত্রাসীরা আটককৃত ব্যক্তিকেসহ জাল ও নৌকা ছিনিয়ে নিয়ে পাহাড়ের ভেতরে চলে যায়।’
বিএফডিসি সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে হ্রদের বিভিন্ন পাহাড়ি ঘোণায় অবাধে মাছ শিকার করে অসাধু চক্র। স্থানীয় আঞ্চলিকদলের সন্ত্রাসীদের প্রত্যক্ষ মদদে নিষিদ্ধকালীণ সময়েও অবাধে মাছ শিকার করে অসাধু একটি সিন্ডিকেট চক্র। সশস্ত্র এসব সন্ত্রাসীরা স্বশরীরে উপস্থিত থাকায় ঘটনাস্থলে অভিযানে যায় না কেউই।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত পহেলা মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বিপননের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পহেলা মে থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ থাকার পাশাপাশি স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে রাঙামাটি থেকে দেশের অন্য প্রান্তে কোনো ধরনের মাছ পরিবহণ সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।