থানচি ও আলীকদমে সেনা-বিজিবির যৌথ অভিযান: অস্ত্র-গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকসহ ৬ জন আটক
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পৃথক অভিযানে সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ টহল দল অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকসহ ৬ জন সশস্ত্র সদস্যকে আটক করেছে।
১৮ অক্টোবর শনিবার, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বলিপাড়া বিজিবি জোনের একটি দল থানচি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এ সময় অস্ত্র চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওয়াইবার ত্রিপুরাকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে রেমাক্রি ইউনিয়নের লিক্রি এলাকায় আরও একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে ওয়াইবার ত্রিপুরার সহযোগী রোহান ম্রোকে আটক করা হয় এবং তার বাড়ি তল্লাশি করে ১টি পিস্তল, ২টি গাদা বন্দুক, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১টি ম্যাগাজিন, ৩০ রাউন্ড গুলি, ১টি মর্টার গোলার খালি বাক্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, ১৯ অক্টোবর সকালে সেনাবাহিনীর একটি আভিযানিক দল আলীকদম উপজেলার আগলা পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মেনশন ম্রোর বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি চালানো হলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে সেনা সদস্যরা ৪ জনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে। এ সময় ২৮ রাউন্ড এমজি বল অ্যামুনিশন, ২টি ওয়াকিটকি, ৪টি ওয়াকিটকি চার্জারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের পর সেনাবাহিনী ও বিজিবি সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তারা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও বিজিবি যেকোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকাগুলোতে অবৈধ অস্ত্র ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা রোধে যৌথবাহিনীর অভিযানের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
