শান্তিচুক্তির সাংবিধানিক বৈধতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে চট্টগ্রামে সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের বিক্ষোভ

শান্তিচুক্তির সাংবিধানিক বৈধতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে চট্টগ্রামে সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের বিক্ষোভ

শান্তিচুক্তির সাংবিধানিক বৈধতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে চট্টগ্রামে সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের বিক্ষোভ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিকে ‘কালো চুক্তি’ ও ‘সংবিধান-বিরোধী’ আখ্যা দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট। সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৭ বছর পরও পাহাড়ি অঞ্চলের ১৪ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমানাধিকার নিশ্চিত হয়নি; বরং ভূমি, নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল হওয়ায় বৈষম্য ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জামাল খান এলাকা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চেরাগী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির বহু ধারা এখনো জনস্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাদের দাবি, ভূমি বিরোধ, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং প্রশাসনিক জটিলতা দূর করতে হলে চুক্তিটিকে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করা জরুরি। একই সঙ্গে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৯৮’ বাতিল বা সংশোধন ছাড়া পাহাড়ে স্থায়ী স্থিতিশীলতা আসবে না বলেও মত দেন তারা।

সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক বলেন, “২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও পাহাড় একই অচলাবস্থায় রয়েছে। আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেএসএস সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এখনো প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করছেন। কোন প্রক্রিয়ায় তিনি আগের অবস্থানে বহাল—তা দেশের জনগণের জানার অধিকার রাখে।”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একক ও অবিভাজ্য রাষ্ট্র; তাই কোনো অঞ্চলে পৃথক প্রশাসনিক সার্বভৌমত্ব গ্রহণযোগ্য নয়।

থোয়াইচিং মং শাক দাবি করেন, স্থায়ী শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কার্যকর সক্ষমতা ও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে স্থানীয় জনগণের আস্থা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও দেশপ্রেম জোরদারে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইখতিয়ার ইমন, পাইশিখই মারমা, শাহীন আলম, পাইমংথুই মারমা প্রেম, মুজিব উল্লাহ তুষার, রাকিব হোছাইন নওশাদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।

উল্লেখ্য, শান্তিচুক্তির সাংবিধানিক অবস্থান ও বাস্তবায়ন প্রশ্নে পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে বিতর্ক ও রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed