বান্দরবানের দুর্গম থানচি সীমান্তে বিজিবির উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

বান্দরবানের দুর্গম থানচি সীমান্তে বিজিবির উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

বান্দরবানের দুর্গম থানচি সীমান্তে বিজিবির উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের দুর্গম বুলুপাড়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) কর্তৃক নির্মিত বিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী।

বান্দরবানের দুর্গম থানচি সীমান্তে বিজিবির উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

উদ্বোধন শেষে তিনি বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর হাতে বই, খাতা, কলম, পেনসিল, রাবারসহ শিক্ষা সহায়ক উপকরণ এবং চকলেট-বিস্কুট তুলে দেন।

অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দুর্গম পার্বত্য সীমান্ত এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী আলীকদম ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ‘অপারেশন উত্তরণ।’ কর্মসূচির আওতায় এই ব্যাটালিয়ন চিকিৎসাসেবা, খাদ্য ও পোশাক বিতরণ, শীতবস্ত্র প্রদান, অগ্নিকাণ্ড ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তাসহ নানা মানবিক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে, যা পাহাড়ে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখছে।

বান্দরবানের দুর্গম থানচি সীমান্তে বিজিবির উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুরা যাতে শিক্ষার আলো পায়— সেই লক্ষ্যেই বুলুপাড়ায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই বিদ্যালয়টি বুলুপাড়া এলাকার তিনটি পাড়ার প্রায় ৫০টি পরিবারের ৭০-৮০ জন শিক্ষাবঞ্চিত শিশুকে শিক্ষার সুযোগ এনে দেবে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে থাকা এসব শিশুর জন্য বিদ্যালয়টি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।

বান্দরবানের দুর্গম থানচি সীমান্তে বিজিবির উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এ উদ্যোগকে ‘মহতী ও সময়োপযোগী’ উল্লেখ করে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, কারবারি ও হেডম্যানরা বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের ভাষ্যে— দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বিজিবি শুধু একটি নিরাপত্তা বাহিনী নয়, বরং মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নির্ভরযোগ্য অংশীদার।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজিবির বিভিন্ন পদবির সদস্য, স্থানীয় কারবারি, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed