লে. জে. (অব.) হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
নিউজ ডেস্ক
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থপাচারের অভিযোগে আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সাহরাওয়ার্দীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। আনসার ভিডিপি’র সাবেক মহাপরিচালক এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি করে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। আলোচিত সাবেক এ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি তার উপার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আসা এসব অভিযোগ পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত দল। এরপর তা অনুমোদনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে দেয়া হয়। পরে এ ব্যপারে অনুসন্ধান কমিটি গঠনে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। দুদকের এক পরিচালকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ওই টিমে রয়েছেন আরও একজন উপপরিচালক। তারা বিভিন্ন দপ্তরে সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, গত ১৯ জুলাই আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে সব সেনানিবাস এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি বিএ-২০০৪ লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী (অবসরপ্রাপ্ত) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেনানিবাসে প্রবেশ এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন, যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এছাড়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাবস্থায় একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এনডিসিতে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সের সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণকালেও একাধিক নারীর সঙ্গে চলাফেরা করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে তার এই অশোভনীয় আচরণ এবং মেলামেশার ছবি গোচরীভূত হলে কর্তৃপক্ষ বিব্রত হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে উপদেশ দেওয়া হয়। আইএসপিআর আরও জানায়, তিনি এলপিআরে থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট প্রথম স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন এবং সেনা আইনবহির্ভূতভাবে মেসকিট (সামরিক পোশাক) পরে ২১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত দ্বিতীয় বিবাহ করেন।