রাঙামাটির কাঠালতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার ক্ষতি - Southeast Asia Journal

রাঙামাটির কাঠালতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার ক্ষতি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙ্গামাটি শহরের কাঁঠালতলী এলাকার লেকার্স পাবলিক স্কুল রোডে আকস্মিক এক অগ্নিকান্ডে অন্তত ২০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নি দুর্গতরা আশেপাশের সব কাচার ঘর হওয়ায় ফাগুনের তাপদাহে মুহূর্তেই আগুন বসতবাড়ি গুলো গ্রাস করে নেয়। সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলেও ফায়ার সার্ভিসের আসতে দেরি দেখে স্থানীয়রা যে যার মত আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে স্থানীয়দের সাথে যোগ দেয় এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় দেড় ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাথে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহ আলম জানান, আগুন কিভাবে লেগেছে জানি না। তবে আমাদের সব ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিকভাবে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় কোনো কিছু রক্ষা করতে পারিনি। আমরা রাস্তায় বসে গেছি।

স্থানীয়রা জানান, আগুনের সূত্রপাত কি ভাবে হয়েছে জানা নেই। আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ বলেন, প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য সাংবাদিক শফিকুর রহমান, স্থানীয় অধিবাসী ইলিয়াস সওদাগর এবং রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম জানান, আগুনে ২০ থেকে ২৫ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিকদের মধ্যে আবুল হাশেম মিস্ত্রি, মমিনুল হক, আলী আহমদ ড্রাইভার, বদিউল আলম, আব্দুল হক, নুরু ও শাহ আলমের নাম জানা গেছে। এসব ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে ২০ থেকে ২৫ টি পরিবার বসবাস করে আসছে।

এদিকে আগুন নেভানোর সময় আহত জাবেদ (৩৮) এবং তাজুল ইসলাম (২৬) আহত হয় এবং রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় আরো কয়েকজন আহত হলেও তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি বলে নাম পাওয়া যায়নি।

এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে ছুটে যান রাঙ্গামাটিতে নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান ও রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান।