আলীকদমে সেনাবাহিনীর অভিযানে গহীন পাহাড়ে বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমান কাঠ জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম সেনা জোনের জোন জেসিও ইকরাম ও জোনের আওতাধীন ২৬ কিলো: সেনা চেকপোস্টের ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ কাঠ জব্দ করে।
আলীকদম সেনা জোনের জোন জেসিও ইকরাম জানান, অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে একটি অসাধু চক্র বন উজাড় করে প্রতিনিয়ত সমতলে এসব কাঠ পাচার করে আসছে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাসদস্যদের টীম নিয়ে ২৬ কিলোর উন্ডিপাড়া এলাকা থেকে এক কিলোমিটার ভিতরে অভিযান চালিয়ে মোট ১০টি স্থান থেকে আনুমানিক ২ হাজার ঘনফুট (২৫৪ টুকরা) অবৈধ কাঠ জব্দ করে। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকা হবে বলে ধারণা করছি।
জব্দকৃত কাঠগুলো লামা বনবিভাগের তৈন রেঞ্জকে হস্থান্তর করা হয়েছে। এসময় সেনাসুত্রে জব্দকৃত অবৈধ কাঠগুলো মোঃ আমান মিয়ার বলে জানা যায়, তার বাড়ি চট্টগাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায়। সেনা জোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে কাঠ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে লামা বন বিভাগের আওতাধীন তৈনরেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে মোটোফোনে কথা হলে জহির উদ্দিন মোঃ মিনার চৌধুরী জানান, জব্দকৃত কাঠের পরিমান আনুমানিক ১৫’শ ঘনফুট হতে পারে। যার অধিকাংশই বানর হোলা ও বাজে কাঠ, অল্প কিছু গর্জন ও গামারী কাঠ রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, যেখান থেকে কাঠগুলি জব্দ করা হয়েছে সেই জায়গাটি ৩৬২ নং থানছি মৌজার। অবৈধ কাঠগুলি আলীকদম সেনা জোনের পক্ষ থেকে জব্দ করে আমাদের কাছে হস্থান্তর করেছে, এলাকাটি আমাদের আওতায় না হলেও আমরা জোনের অনুরোধে দূর্গম পাহাড় থেকে কাঠগুলি রেঞ্জ অফিসে আনার চেষ্টা করছি। তবে জায়গাটি গহীন হওয়াতে পরিবহন সমস্যার কারনে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে এসময় জানান।