মিয়ানমারে সাড়ে তিন মাসে নিহত ৮০২ - Southeast Asia Journal

মিয়ানমারে সাড়ে তিন মাসে নিহত ৮০২

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করা সেনাবাহিনীর হাতে ফেব্রুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত আট শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে।

এএপিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী ৮০২ বেসামরিক নাগরিক সামরিক জান্তার সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হতে পারে।

এএপিপি জানিয়েছে, মিয়ানমারে সম্প্রতি বিক্ষোভ চলাকালে ৪ হাজার ১২০ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এদের মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।

১ ফেব্রুয়ারি শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী। জারি করে এক বছরের জরুরি অবস্থা।

নির্বাচিত নেতাদের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে এরপরই বিক্ষোভে নামে মিয়ানমারের হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নেয় সামরিক জান্তা সরকার। নির্বিচারে গুলি করা হয় বেসামরিক নাগরিকদের। নির্যাতনের হাত থেকে বাদ যায়নি শিশু-কিশোরেরাও।

হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বরাবরই মুখ খুলতে নারাজ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বরং এএপিপির দেয়া নিহতের সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে আসছে তারা।

সম্প্রতি ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন প্রদেশের মিনডাট শহরে ভয়াবহ সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে স্থানীয় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সোমবার মিনডাট শহরে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা জঙ্গল, গ্রাম ও উপত্যকায় আশ্রয় নেয়।

মিনডাটে নবগঠিত সশস্ত্র বাহিনী চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্সকে দমাতে কামান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে সেনাবাহিনী। এর আগে গত সপ্তাহে শহরটিতে সামরিক আইন জারি করা হয়।

বাসিন্দাদের কয়েকজন রয়টার্সকে বলেন, সহিংসতা এড়াতে এরই মধ্যে পাঁচ থেকে আট হাজার মানুষ শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সড়কে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া লোকজনকে শহরে ফিরতে বাধা দিচ্ছে সেনারা।