৬৩ দিন পর ভারতে দৈনিক শনাক্ত লাখের নিচে - Southeast Asia Journal

৬৩ দিন পর ভারতে দৈনিক শনাক্ত লাখের নিচে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

অবশেষে ভারতে কমছে করোনায় শনাক্ত ও মৃতের হার। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশটিতে ৬৩ দিন পর দৈনিক শনাক্ত সংখ্যা লাখের নিচে নেমে এসেছে। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরো ২ হাজার ১১৫ জনের, নতুন শনাক্ত ৮৭ হাজার। আর গোটা বিশ্বে এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু কমেছে ১১ভাগ।

সবশেষ এই তথ্য নিয়ে ভারতে করোনায় সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭৩। মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯।

ভারতে টানা ১৫ দিন ধরে ১০ শতাংশের নিচে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার কমে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশে নেমে এসেছে।

গত এক সপ্তাহে ভারতে শনাক্তের হার কমেছে ৩৩ শতাংশ, মৃতের হার কমেছে ২১ ভাগ। এক সপ্তাহে শনাক্তের সংখ্যা ১২ লাখ ২৬ হাজার থেকে ৮ লাখ ২৩ হাজারে নেমেছে। এদিকে অষ্টম দিনের মতো মুম্বাই এ শনাক্ত হয়েছে হাজারেরও কম মানুষ। সোমবার ৭২৮ জন নতুন শনাক্ত হয়েছে।

ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। তারপর রয়েছে কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ। উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, গুজরাট, ওডিশা, মধ্যপ্রদেশেও উল্লেখযোগ্য হারে করোনা শনাক্ত হচ্ছে।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এ সংক্রমণের জেরে মৃত্যুও হচ্ছে।

এদিকে দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে আগামী জুনের ২১ তারিখ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বিনামূল্যে টিকা দেয়ার ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টিকার অব্যবস্থাপনা কমাতে আবার টিকার নিয়ন্ত্রণ নেবে কেন্দ্র সরকার।

গত মার্চের মাঝামাঝিতে ভারতে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর দেশটিতে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে থাকে। গত মাসে ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হন।

৪ এপ্রিল ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মাইলফলক ছাড়ায়। ২৩ মে করোনায় মৃত্যু তিন লাখের মাইলফলক ছাড়ায়। এরপর ৩০ এপ্রিল ভারতে প্রথম এক দিনে চার লাখের বেশি মানুষের করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর একাধিক দিন দেশটিতে চার লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হন।

৭ মে ভারতে প্রথম এক দিনে করোনায় চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তারপর একাধিক দিন দেশটিতে চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভারতের দখলে।

এছাড়া বিশ্বে প্রাণহানির দিক দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ ব্রাজিলে একদিনে ১১শো জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে সংক্রমণ বাড়ায় বয়স্কদের টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৩৪ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, সোমবার ব্রিটিশ সরকার ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী নাগরিকদের করোনার টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে প্রথম ডোজের টিকা তারা নিতে পারবে। এদিকে দ্বিতীয় ইউরোপিয়ো ইউনিয়ন দেশ হিসেবে স্লোভাকিয়া রাশিয়ার স্পুতনিক ভি টিকা ব্যাবহার শুরু করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে বলেছেন,এখনি বিভিন্ন দেশে চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে পারে। সংক্রমণও আগের সাতদিনের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৭ হাজার ৯০০ জনের। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি ছাড়িয়েছে সাড়ে ৩৭ লাখ।