বান্দরবানে ডায়রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১, সেনা সহায়তায় হাসপাতালে আক্রান্ত ৩ জন
![]()
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নের তিন গ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছে ২০০ জনের বেশি। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সেনাবাহিনীর যৌথ মেডিকেল টিম।
সেভেন ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স বান্দরবান সেনা রিজিয়নের মেজর মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। জেলার আলীকদম উপজেলার ওই ইউনিয়নে ‘ব্যাপকভাবে ডায়রিয়া’ ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও সেনাববাহিনীর দুটি চিকিৎসা দল যায় সোমবার।

কুরুকপাতা ঘুরে আসা মেজর সাইফুল সাংবাদিকদের বলেন, “ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই এলাকায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জন মারা গেছেন। অসুস্থ রয়েছেন আরও প্রায় অর্ধশত। সেখানে সাময়িক হাসপাতাল তৈরি করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।” তাছাড়া রেং অং ম্রো, (১১), মাংলাই ম্রো, (০৫) ও ওয়াই চাদ ম্রো (৫৫) নামের তিনজন গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন সদর দপ্তর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের উদ্যোগে দুপুরে তাদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন বলেছিলেন, “মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই এলাকায় ডায়রিয়ায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া ওই এলাকার আটটি পাড়ায় মোট নয়জন ডায়রিয়া আক্রান্ত আছেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”
এছাড়া আলীকদম সেনা জোনের উদ্যোগে আক্রান্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাই ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে বলে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ওই এলাকায় প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে ডায়রিয়া দেখা দেয়। তবে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে এলাকাবাসী জানান।
জেলার সিভিল সার্জন অংসুইপ্রু মারমা বলেন, দুর্গম এলাকার বেশির ভাগ লোক ছড়া ও ঝিরির পানি ব্যবহার করে। বৃষ্টি হলে এসব জমানো পানি দূষিত হয়ে যায়। এই পানি খেলে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।