যুক্তরাজ্যে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ মিয়ানমার জান্তার
নিউজ ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে লন্ডন দূতাবাসে নতুন একজন রাষ্ট্রদূতকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
নতুন নিয়োগ পাওয়া এই কূটনীতিক আগের রাষ্ট্রদূত কেয়াও জোয়ার মিনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিকে হটিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন কেয়াও জোয়ার মিন এবং আন্দোলনেও সরব ছিলেন তিনি।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ নেয়ার কারণে কেয়াও জোয়ার মিনকে আগেই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এমনকি তাকে এরপর আর দূতাবাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, দূতাবাসে নতুন ‘অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স’ নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে মিয়ানমারের। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন পড়ে না।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর এক সপ্তাহ পরেই বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে রাজপথে নামে দেশটির সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। অপরদিকে বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নেয় জান্তা সরকার।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৯শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে। এরপর থেকে মিয়ানমার সেনা বাহিনীর দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশ।
সম্প্রতি লন্ডনে মিয়ানমার দূতাবাসে যাকেই নতুন করে নিয়োগ দেয়া হোক না কেনো তাকে মেনে না নেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটিশভিত্তিক সংগঠন মিয়ানমার অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রজেক্ট (এমএপি)।
এমএপি জানিয়েছে, মিয়ানমার জান্তা লন্ডন দূতাবাসের দায়িত্ব হতুন অং কেয়াওকে দিয়েছে। সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন তিনি। যদিও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, কেয়াও জোয়ার মিন এখনো যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।