৪ মাস পর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু
নিউজ ডেস্ক
দীর্ঘ ৪ মাস পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছ আহরণ শুরু করবে মৎস্যজীবীরা বলে জানান বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক লে. কর্নেল মো. তৌহিদুল ইসলাম।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, চলতি বছর ১ মে থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। বন্ধের সময় কাপ্তাই হ্রদে এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ বাজারজাতকরণ, শুকানো ও পরিবহণ সম্পন্ন নিষিদ্ধ ছিল।
যাতে হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের ব্যাঘাত না ঘটে। তবে বন্ধকালীন কাপ্তাই হ্রদে ৪৬ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এ পোনা মাছগুলো ৪ মাসের মধ্যে আহরণ করার মত বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধের সময় বেকার মৎস্যজীবীদেরও পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা বেকার সময় দুঃখ কষ্টে না থাকে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক লে. কর্নেল মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। এ হ্রদে প্রতি বছর প্রাকৃতিক প্রজননকৃত মাছের মধ্যে শতকরা ৩১ ভাগ কাতল, ১২ ভাগ রুই, শতকরা ৭ ভাগ মৃগেল ও ৫১ ভাগ কালবাউশের প্রজনন হয়। যা দেশের সামগ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের রাজস্ব আয়ের বিরাট একটি অংশ হিসেবে কাজ করে।