রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে এখন আর আপত্তি নেই সু চির অনুসারীদের
নিউজ ডেস্ক
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস- আইসিজেতে মামলা বিচারের এখতিয়ার নিয়ে আর কোনো আপত্তি নেই মিয়ানমারের ছায়া সরকারের। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনপ্রণেতা ও প্রশাসনিক কর্মীদের নিয়ে গঠিত এনজিইউ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের আগে প্রাথমিকভাবে এই মামলার বিচারে আইসিজের এখতিয়ার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল অং সান সু চির সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ এনে গাম্বিয়ার করা এ মামলার বিচারে আইসিজের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করা মূলত বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্ব করার একটি চেষ্টা হিসেবে দেখছেন অনেকে।
তবে এনজিইউর এই বিবৃতি আইসিজের আইনি প্রক্রিয়ায় আদৌ কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সেনা অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ছায়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যে নৃশংসতা চালিয়েছে, আইসিজের তরফে সেই বিষয়ের স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন। এতে জান্তা সরকার এখন যেসব নৃশংস অপরাধ সংঘটিত করছে, সেগুলো বন্ধ হওয়ার পথ তৈরি হবে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের নভেম্বরে আইসিজেতে মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালত অবস্থিত।
মামলার পক্ষে আইসিজেতে ৫০০ পৃষ্ঠার স্মারক জমা দেয় গাম্বিয়া। একই সঙ্গে অভিযোগের পক্ষে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার সম্পূরক নথিপত্র যুক্ত করে দেশটি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য মিয়ানমারের তৎকালীন সরকার কীভাবে দায়ী, তা এসব স্মারক ও নথিপত্রে তুলে ধরা হয়।
তবে ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে উপস্থিতি থেকে রাখাইনে সামরিক বাহিনীর হাতে গণহত্যার অভিযোগ তখন অস্বীকার করেন সু চি।
কিন্তু গত বছরের সেনা অভ্যুত্থানের পর সু চিকে আটক করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। কয়েকটি মামলায় সু চির বিচার চলছে। অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র ফেরানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে মিয়ানমারে গঠন করা হয় ছায়া সরকার। এ সরকারে সু চি নিজেও রয়েছেন।