ভাসানচরে গেলেন আরও দুই হাজার রোহিঙ্গা
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১৩তম দফায় আরও ১ হাজার ৯৯৭ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ৬৬৭টি পরিবারের ১ হাজার ৯৯৭ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ১ হাজার ৯৯৭ জন রোহিঙ্গা নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা দেয় ৩৯টি বাস। এর মধ্যে দুইজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই নারীর একজন সন্তান-সম্ভবা এবং অন্যজন সদ্য প্রসূতি। ফলে ১ হাজার ৯৭ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ছেড়ে যায় নৌ-বাহিনীর জাহাজ।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা বলেন, স্বেচ্ছায় যেসব রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচর যেতে আগ্রহী তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর আগে ২৫ হাজারেরও অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, ১০ম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১২৮৭ জন ও একাদশ দফায় ১ হাজার ৬৫৫ জন ও ১২ তম দফায় ২ হাজার ৯৮২ জনসহ মোট ২৭ হাজার ৬৭৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগ করে বাস্তুচ্যুত করে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এ নিয়ে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে অন্তত সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছেন। সেখান থেকে ১ লাখ রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে।