খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু) এর ভয়াবহ গোলাগুলি
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের দুর্গম হরণসিং পাড়া এলাকা পাশ্ববর্তী দীঘিনালা উপজেলার নাড়েইছড়ির দুর্গম সিরেন্দি পাড়া এলাকায় প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফ ও পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী সাবেক গেরিলা নেতা এবং আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস এর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার (১১ জুন ২০২২ ইং) ভোরে এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয় বলে একটি সূত্র সাউথইস্ট এশিয়া জার্নালকে নিশ্চিত করেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করে জানাতে পারে নি সূত্রটি।
অপর একটি অসমর্থিত সূত্র বলছে, গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৩-৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে এবং তাৎক্ষনিক মুতদেহগুলো সরিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারে নি সাউথইস্ট এশিয়া জার্নাল।
মূলত, ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখনো পর্যন্ত হতাহতের খবর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনচারুল করিম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, এমন একটি ঘটনার কথা তারা শুনেছেন তবে তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন নি। এছাড়া দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)র মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ সালের ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের সমঝোতা চুক্তির শর্ত ছিল একে অপরের সাংগঠনিক এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ধরে জেএসএস(সন্তু) দলের সশস্ত্র গ্রুপ ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের সাংগঠনিক এলাকায় অবস্থান করে আসছে। এ নিয়ে দু’দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি ছিল। জেএসএস সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার দাবী জানিয়ে সাধারণ জনগণকে দিয়ে বহুবার মিছিল-সমাবেশ করিয়েছিল ইউপিডিএফ (প্রসীত)। ফলশ্রুতিতে রেষারেষি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।