খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার ক্লাবের ৪২তম ব্যাচের উদ্বোধন - Southeast Asia Journal

খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার ক্লাবের ৪২তম ব্যাচের উদ্বোধন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ির রামগড়ে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) কর্তৃক স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের কম্পিউটার ক্লাবের-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ৪২তম ব্যাচের উদ্ধোধন করা হয়েছে।

সকালে (রবিবার) রামগড় ব্যাটালিয়নের মহিলা কল্যাণ সমিতির প্রশিক্ষণ হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রামগড় ব্যাটালিয়নের ষ্টাফ অফিসার সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ।

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৪৩ বিজিবি প্রতিনিয়ত স্থানীয় যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় রামগড় ব্যাটালিয়ন অপারেশনাল এবং দৈনন্দিন কার্যক্রমের পাশাপাশি এলাকায় শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে, তারই একটি অন্যতম কার্যক্রম হচ্ছে যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

তিনি আরও বলেন, কোন শিক্ষাই ছোট না, তবে যে কোন শিক্ষা শৃঙ্খালার সাথে অর্জন করে দেশের উন্নয়নে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। ভালো শিক্ষা অর্জন করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে হবে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, “আমি আশা করি, আপনারা এই প্রশিক্ষণ আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করে আপনাদের ব্যক্তি জীবনসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।”

সূত্র জানায়, বিজিবির অর্থায়নে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৪২তম কম্পিউটার প্রশিক্ষণে এবার ব্যাটালিয়ন অধিনস্ত বিভিন্ন এলাকার ৩২জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।

এসময় জোন এনসিও ঠান্ডু মিয়াসহ বিজিবির পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণার্থী, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি জানায়, রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) কর্তৃক প্রতিনিয়ত বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং পাহাড়ী ও বাঙ্গালী গরীব-দুঃস্থ জনসাধারনের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।