পাহাড়ে কফি চাষের সম্ভাবনা - Southeast Asia Journal

পাহাড়ে কফি চাষের সম্ভাবনা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

কফি শব্দটা শুনলেই মনে হয় এটা বিদেশ থেকে আনা। কিন্তু বাংলাদেশেও চাষ করা যেতে পারে বিশ্ব মানের কফি, এমন আভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর বহু বছর আগে থেকেই বান্দরবানের বম সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেরা খাওয়ার জন্য বাড়ির আঙিনায় কফি চাষ করতো। আর ইদানিং কেউ কেউ কফি গাছ লাগিয়েছেন বাণিজ্যিক ভাবেই। তাদেরই একজন ফাঙ্গাল বম। বান্দরবানের ফারুকপাড়া গ্রামে ৪একর জমিতে তিনি কফি চাষ করছেন।

ফাঙ্গাল বম জানান, একটিন কফি গাছে মোট ১২ কেজির মতো কফি পাওয়া যায়, যা শুকানোর পর ১০ কেজিতে পরিণত হয়। তিনি জানান, এটার প্রধান সমস্যা বাজারজাত করা যাচ্ছেনা। তিনি সরকারের কাছে কফি বাজারজাত করার সংশ্লিষ্ট সবধরণের সহযোগীতা কামনা করেন। ফাঙ্গাল বমের মতো অনেকেই কফি চাষে আগ্রহী হওয়ার পরেও ভূগছেন সিদ্বান্তহীনতায়।

স্থানীয়রা জানান, কফি চাষ করে বাজারজাত করতে না পারায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাই তারা কফি চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে কফি চাষের জন্য আলাদা কোন জমির প্রয়োজন নেই, যে জমিতে পাহাড়ীরা আনারস, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসল ফলাচ্ছেন সেসব জমিতেই কফি চাষ সম্ভব। এছাড়াও কফি চাষের জণ্য দরকার অম্ল জাতীয় মাটি। পাশাপাশি কফি গাছের গোড়ায় জমানো যাবে না পানি, এর ২ বৈশিষ্টই আছে বান্দরবান এলাকায়। তাই কফিকে অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষ শুরু করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। গবেষনায় দেখা গেছে, এরাবিয়া নামের কফি বেশ সাফল্যের সাথেই চাষ করা সম্ভব পার্বত্য এলাকায়।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, দেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে যদি অন্যান্য ফসলের মতো কফিও বানিজ্যিকভাবে চাষ করা যায় তবে দেশের ও দেশের বাহিরে রপ্তানি করে যেমন লাভবান হবে সরকার তেমনি সচ্ছলতার মুখ দেখবে এখানকার মানুষ।