নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ, স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন
![]()
নিউজ ডেস্ক
এ এক নতুন দিগন্ত। দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় যুক্ত হলো, স্বপ্নের মেট্রোরেল। বেলা ১১টার দিকে, এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে যোগ দেন সুধী সমাবেশে। এরপর, টিকিট কেটে প্রথম যাত্রী হন সরকারপ্রধান।
রাজধানী ঢাকায় যানজট এক চিরচেনা দৃশ্য। এমন দশা বদলাতে, ছয় বছর আগে রাজধানীর উত্তরায় শুরু হয়, মেট্রোরেলের নির্মাণযজ্ঞ। ২০২২ সালে এসে, এই কর্মযজ্ঞ পরিণতি পেলো বাস্তবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করলেন, নগরবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল। বাংলাদেশের গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবেশ করলো, নতুন যুগে।
ফলক উন্মোচনের পর, সুধী সমাবেশে যোগ দেন সরকারপ্রধান। মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট গণমান্য বক্তিবর্গ।
সুধী সমাবেশে শেষে মেট্রোরেলের প্রথম টিকিট কাটেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয়, ঐতিহাসিক যাত্রা।
দেশের প্রথম ও বৈদ্যুতিক গণপরিবহন এই মেট্রোরেল। প্রাথমিক পর্যায়ে চালু হলো, এমআরটি লাইন-৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই রুট। যা পুরোদমে চালু হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে। আর ২০২৫ সালে চালু হবে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রুট।
শুরুতে মেট্রোরেল চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, ভাড়া ৬০ টাকা। সর্বনিম্ন ২০ টাকা। অর্ধেক ভাড়ার সুবিধা পাবে না শিক্ষার্থীরা। মেট্রোরেল পুরোদমে চালু হলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিভাবকের সঙ্গে থাকলে, সর্বোচ্চ তিন ফুট উচ্চতার শিশুদের মেট্রোরেলে ভাড়া দিতে হবে না।
স্বপ্নের এই মেট্রোরেলে সাধারণ যাত্রীরা চড়তে পারবেন আগামীকাল থেকে। নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে, এই গণপরিবহনে চড়তে হবে, সুশৃঙ্খলভাবে।