গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ! - Southeast Asia Journal

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ!

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার অন্তর্গত হাফছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আছহাফ উদ্দিন অনৈতিকভাবে আদায়কৃত টাকা লিখিত সমঝোতার মাধ্যমে ফেরত দিয়েছেন । সোমবার সকালে গোপনে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জ্যোতি চাকমাকে সত্তর হাজার টাকা ফেরত দিয়ে আপোষ নামা করেছে আছহাফ উদ্দিন।

অভিযোগকারী জ্যোতি চাকমা লিখিতভাবে জানান, গত ৭ মে রংপুর থেকে তার ব্যবসায়ী বন্ধু আলমগীর তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে চলে যাওয়ার সময় তাকে ফাঁড়ির ইনচার্জ আছহাফ উদ্দিন ও তার লোকজন জালিয়াপাড়া পুলিশ বক্সে আটক করে। পরে মোবাইল ফোনে জ্যোতি চাকমাকে ডেকে এনে আটক করে এবং এক লাখ টাকা না দিলে তাকে ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে জ্যোতির পরিবারের লোকজন ধার দেনা করে সত্তর হাজার টাকা এনে ফাঁড়ির ইনচার্জকে দেয়। বাকি টাকার জন্য দুই দিনের সময় নিয়ে তারা ছাড়া পায়। একদিন পরে ছাগল বিক্রি করে পরে দশ হাজার টাকা দিলেও মোবাইল ফোনে বাকি টাকার জন্য হুমকিতে ভয়ে অস্থির হয়ে জ্যোতি চাকমা লিখতভাবে বিষয়টি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে জানিয়েছেন।

সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ইনচার্জ আসহাফ উদ্দিন ঘটনার সাত দিন পর বিশ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বলেন, কেও জানতে চাইলে সব টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বলতে। পরে বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাগড় সার্কেল তদন্তের জন্য ডাকলে পুলিশ অফিসার আছহাফ উদ্দিন তার এলাকার ইউপি সদস্য চাইলাপ্রু মারমাকে নিয়ে লিখিত সমঝোতা করে টাকাগুলো ফেরৎ দেয়।

অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ আসহাফ উদ্দিনের নিকট জানতে গেলে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে তদন্তে যা হবার হবে। টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জেনে ফাঁড়ির ইনচার্জ আসহাফ উদ্দিনের নিকট জানতে চেয়েছেন। প্রথমে সে অস্বীকার করলে ও পরে টাকা ফেরৎ দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামগড় সার্কেলকে তদন্ত দিয়েছেন। তদন্ত চলমান রয়েছে।