মহালছড়িতে রাস্তা নির্মাণে বালির পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি ও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ - Southeast Asia Journal

মহালছড়িতে রাস্তা নির্মাণে বালির পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি ও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে বালির পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার ও রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি থেকে প্রায় ২৪ কিমি. দূরে উপজেলার ১নং চৌংড়াছড়ি ইউনিয়নে নোয়াপাড়া এলাকায় এই গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

রাস্তার নির্মাণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, ‘রাস্তার নির্মাণের কাজে দুই স্তরের ইট দেয়া হচ্ছে। নিচের স্তরে ২ নাম্বার ইট দেয়ার পর উপরের স্তরে দেয়া হচ্ছে এক নাম্বার। এছাড়া রাস্তার বালুর পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে পাহাড়ে মাটি। শ্রমিকরা জানান, ‘আমাদের কাজের জন্য যা দেয়া হয়েছে সেটা দিয়ে কাজ চলছে। এ সময় শ্রমিকেরা দাবি করে মাটি বালুর রাস্তার জন্য কার্যকর।’ ইতিমধ্যে রাস্তার অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। শেষ হওয়ার রাস্তার মজবুতকরণের জন্য ইটের উপর বালু দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে দেয়া হয়েছে রাস্তার পাশের মাটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। এই প্রকল্পের আওতায় মহালছড়ি উপজেলায়, ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বোল্ড (এইচবিবিকরণ) প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। উপজেলার ১নং চৌংড়াছড়ি আবু বক্করের দোকান হতে নোয়াপাড়া পর্যন্ত এক হাজার মিটার এইচবিবিকরণে কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে এটি মাটির রাস্তা ছিল। সম্প্রতি এটি নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। এই রাস্তা বেশি দিন টিকবে না।’ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গ্রামীণ রাস্তার এইচবিবিকরণের কাজ করছে স্থানীয় ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন।

নিম্নমানের ইট ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘মাঝে মধ্যে ২ নাম্বার ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। পাহাড়ি মাটি ব্যবহার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘এখানে তো বালুমহল নেই তাই পাহাড় কাটা মাটির বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।’

মহালছড়ি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা (পিআইও) রাজ কুমার শীল জানান, ‘এখানে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই।