বিজিবির অভিযান: ফেব্রুয়ারিতে ১২১ কোটি টাকার চোরাচালানপণ্য-মাদক জব্দ - Southeast Asia Journal

বিজিবির অভিযান: ফেব্রুয়ারিতে ১২১ কোটি টাকার চোরাচালানপণ্য-মাদক জব্দ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি মাসে ১২০ কোটি ৯৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব চোরাচালান পণ্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য জব্দ করে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, জব্দকরা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২২ কেজি ১৬৩ গ্রাম সোনা, ৩ কেজি ৬৩০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৬টি কসমেটিকস সামগ্রী, ১৫ হাজার ২৩২টি ইমিটেশন গহনা, ৯ হাজার ৭৩৮টি শাড়ি, ২ হাজার ৬০৮টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৫ হাজার ৩২২টি তৈরি পোশাক, ৩ হাজার ৪০ ঘনফুট কাঠ, ৮ হাজার ১৩৬ কেজি চা পাতা, ৬৫ হাজার ৮০০ কেজি কয়লা, ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১১৫ কেজি কারেন্ট জাল, ২৪৩ প্যাকেট কীটনাশক, ৬৬৫ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ৪টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ১৪টি পিকআপ, ৩টি প্রাইভেটকার, ১৬টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৪৭টি মোটরসাইকেল।

উদ্ধারকরা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি পিস্তল, একটি এসএমজি, একটি রিভলভার, একটি রাইফেল, ৪টি বিভিন্ন প্রকার গান, ২টি ম্যাগাজিন এবং ৪০ রাউন্ড গুলি।

এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকরা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৮ লাখ ৩১ হাজার ১৪৫ ইয়াবা, ৩ কেজি ৬৮১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১২ কেজি ৪২৯ গ্রাম হেরোইন, ১৯ হাজার ৫৮৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ১৬৭ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ৩১৬ ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ২৭১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৪৩ হাজার ২২৩ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২৪ হাজার ৮১৩টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন, ৬ হাজার ১৬৫টি ইস্কাফ সিরাপ, ২ হাজার ৫১৯ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭১টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১ হাজার ৭১০টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ২৭ হাজার ৫২৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিযান চালিয়ে ২৬০ একর জমিতে চাষকরা পপিক্ষেত ধ্বংস করা হয়।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও জানায়, সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩১ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১০ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।