কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিউজ ডেস্ক
চলতি বছর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ১ হাজার ৬৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আর স্থানীয় ৪২৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সময় ধরে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারা বলছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর সিডিসি (কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম। সেখানে বলা হয়, রোহিঙ্গা বাদে সারা দেশে চলতি বছর ১ হাজার ৫৩৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৯৭১ জন এবং ঢাকা মহানগরের বাইরে ৫৬২ জন।
নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত বছর সেখানে ১৭ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ বছরও সেখানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রোগীর সংখ্যা উপেক্ষা করার মতো নয়।
রোহিঙ্গা শিবিরের এ অবস্থা কেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গারা সীমিত জায়গায় থাকে। সেখানে পানি সরবরাহ না থাকায় পানি জমা করে রাখতে হয়। জমা করে রাখা পরিষ্কার পানি এডিস মশা প্রজননের জন্য ভালো জায়গা।
রোহিঙ্গা শিবিরে সাধারণ মানুষের চলাফেরা সীমিত থাকাকে কারণ হিসেবে দেখছেন নাজমুল ইসলাম। স্বাস্থ্যকর্মীদের বিধিনিষেধের মধ্যে কাজ করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দিবারাত্রি কাজ করছেন। তারপরও মনে রাখতে হবে, মশার প্রজননক্ষেত্র যদি ধ্বংস করা না যায়, এটা কিন্তু প্রাক্-মৌসুম, তাহলে পুরোপুরি মৌসুম শুরু হয়ে গেলে এর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতেই পারে।’
ঢাকা মহানগর প্রসঙ্গে নাজমুল ইসলাম বলেন, জনবসতি যেখানে বেশি, সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷