নথি জাল করে সীমান্ত পথে গবাদিপশু আনার পাঁয়তারা
নিউজ ডেস্ক
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নকল করে জাল চিঠি তৈরির পর দেশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে গদাবিপশু আনার চেষ্টা হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সীমান্ত দিয়ে বৈধভাবে গবাদিপশু আমদানির সময় সেখানে সাময়িকভাবে গবাদিপশু রাখার জন্য বিট বা খাটাল তৈরি করা হয়। সরকারি শুল্ক পরিশোধের পর ব্যবসায়ীরা গবাদিপশু দেশে প্রবেশ করাতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চোরাইপথে অবৈধভাবে গবাদিপশু দেশে প্রবেশ কঠোরভাবে বন্ধ করা এবং দেশের সীমান্ত এলাকায় গবাদিপশুর বিট বা খাটাল স্থাপন বিগত কয়েক বছর ধরে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুশাসন রয়েছে।
“বিট বা খাটাল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর নকল করে জাল ও ভুয়া পত্র ইস্যু করে অবৈধ বিট বা খাটাল স্থাপন করে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
“অতি সম্প্রতি এ সংক্রান্ত কিছু জাল বা নকল পত্র জননিরাপত্তা বিভাগের গোচরীভূত হয়েছে। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ বিষয়ে পুরোপরি অবহিত রয়েছে এবং তারা বিট বা খাটাল সংক্রান্ত কোনো স্লিপ ইস্যু করেনি বলে বর্ডার গার্ডের মহাপরিচালক জানিয়েছেন।”
অসাধু ও প্রতারক চক্রের ‘জাল বা ভুয়া চিঠি ইস্যুকারীদের’ বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিট বা খাটালের বিষয়ে বিভ্রান্ত না হতে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার মোটামুটি অর্ধেক হয় এই কোরবানির মৌসুমে। এক সময় কোরবানির পশুর বাজার অনেকাংশে ভারত থেকে আনা গরুর ওপর নির্ভরশীল ছিল। তার বেশিরভাগই আনা হত পাচার করে।
দুই দেশের সরকারের তৎপরতায় এবং বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় গরুর ওপর নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগী হওয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের খামারে পালিত পশু দিয়েই চাহিদা মিটে যাচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এবার এক কোটি তিন লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। আর প্রস্তুতি রয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টির। চাহিদার চেয়ে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
গত বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি। আর কোরবানি হয়েছে ৯৯ লাখ ২১ হাজার ৯৪১টি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “দেশের ক্রমবর্ধমান আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বর্তমানে দেশীয় খামারিরা অত্যন্ত সফলতার সাথে দেশের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে গোমাংস ও দুগ্ধ উৎপাদান করছে। এতে খামারিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে।”