বান্দরবানে বন্যার পানি নামার দুই সপ্তাহ হলেও অফিস-বাসার পরিস্থিতি অস্বাভাবিক - Southeast Asia Journal

বান্দরবানে বন্যার পানি নামার দুই সপ্তাহ হলেও অফিস-বাসার পরিস্থিতি অস্বাভাবিক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানে বন্যার পানি নামার প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও অনেক অফিস ও বাসাবাড়ি কাদায় ভরা। দুর্গন্ধের পাশাপাশি কাদা মাড়িয়ে সেখানে ঢোকা কঠিন। তবে রুমা উপজেলা ছাড়া সব জায়গার বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে জেলা শহরের সাঙ্গু নতুন ব্রিজ ও ওয়াপদা ব্রিজ এলাকায় বিদ্যুতের অফিস ও সরবরাহ উপকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, উপকেন্দ্র এলাকায় কাদা আর কাদা। প্রায় হাঁটুসমান কাদায় হাঁটাচলাও করা যাচ্ছে না। কর্মচারীদের থাকার একতলা ভবনের প্রবেশমুখে এখনো জলাশয়ের মতো কাদাপানি জমে আছে। সরবরাহ উপকেন্দ্রের খুঁটির ওপর স্থাপিত পুরোনো পদ্ধতির (রুরাল সিস্টেম) পাঁচটি কেন্দ্র প্যানেল ডুবে গেলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। সেগুলোর কাদা সরিয়ে চালু করা হয়েছে। কিন্তু খুঁটির নিচে রাখা সিঙ্গেল–ফেজ, থ্রি–ফেজ ট্রান্সফরমারসহ বহু যন্ত্রপাতি কাদায় ডুবে আছে। উপকেন্দ্রের দ্বিতল বিশ্রামাগারের প্রথম তলা পাহাড়ি ঢলে কাদাপানিতে প্রায় সাত ফুট ডুবে থাকার চিহ্ন আছে। দুর্গন্ধে এখানে থাকা দায়।

নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস ও উপকেন্দ্র এলাকায় দুজন কেয়ারটেকার ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। কেয়ারটেকার দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান সবাই রুমা সড়কে সঞ্চালন লাইনের কাজে গেছেন। চার থেকে পাঁচ দিন ধরে তাঁরা সেখানে আছেন। সরবরাহ উপকেন্দ্র ও নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ও বিশ্রামাগারের প্রথম তলা তিন দিন ধরে ছয় থেকে সাত ফুট পানির নিচে তলিয়ে ছিল। পানি সরে যাওয়ার পর জমে যাওয়া হাঁটুসমান কাদা পরিষ্কার করা এত সহজ নয়।

নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর প্রথম কাজ ছিল সাতটি উপকেন্দ্রে প্যানেল কাদামুক্ত করা। তিন দিন কাদা সরানোর পর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে জেলা শহরে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়। তখন থেকে অফিসের কাদা সরানো বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন সারানোর কাজে সবাই নিয়োজিত। অসংখ্য জায়গায় খুঁটি পড়েছে, তার ছিঁড়েছে। এখনো প্রকৌশলী, কর্মচারী সবাই রুমা উপজেলা লাইনে কাজ করছেন। রুমা উপজেলায় বিদ্যুৎ চালু সম্ভব হলে অফিসের কাদা সরানোর কাজ শুরু হবে।

বান্দরবানে ৪ আগস্ট থেকে প্রায় এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসসহ সরবরাহ উপকেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যায়। অচল হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা। পাহাড়ধস ও সড়কধসে অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে সঞ্চালন লাইন ছিঁড়ে যায়। ১০ আগস্ট থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করে। ১২ আগস্ট থেকে জেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা শুরু হয়।