বান্দরবান ও রাঙামাটির দুটি স্থানে গোলাগুলি, আতঙ্ক

বান্দরবান ও রাঙামাটির দুটি স্থানে গোলাগুলি, আতঙ্ক

বান্দরবান ও রাঙামাটির দুটি স্থানে গোলাগুলি, আতঙ্ক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবান ও রাঙামাটির দুর্গম দুটি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ও রাঙামাটির বিলাইছড়ির বড়থলির দুর্গম এলাকায় এ গোলাগুলি হয় বলে জানান জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা গতকাল রাতে মুঠোফোনে বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে জানিয়েছেন, রুমার পাইন্দু ইউনিয়ন এবং বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গোলাগুলিতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গোলাগুলি কাদের মধ্যে হয়েছে, জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, সম্ভবত যৌথ অভিযান। তবে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।

জানতে চাইলে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান রাতে বলেন, ‘গোলাগুলি হয়েছে, শুনেছি আমরা। তবে অফিশিয়ালি আমাদের কিছু জানানো হয়নি।’ হতাহতের বিষয়েও ওসি কিছু জানেন না বলে জানান।

২ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রথমে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখায় হানা দেন অস্ত্রধারীরা। হামলায় কেএনএফের শতাধিক সদস্য অংশ নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় তাঁরা ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করার চেষ্টা চালান। টাকা নিতে না পেরে তাঁরা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি লুট করেন। পরে ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যান। ৪৮ ঘণ্টা পর তাঁকে রুমা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব। নেজাম উদ্দীনকে ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে বদলি করা হয়।

এদিকে রুমার হামলার ১৭ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করেন অস্ত্রধারীরা। এসব ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় নয়টি মামলা হয়। কেএনএফ সদস্যসহ এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয় ৬৬ জনকে। এর মধ্যে ৫৩ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। লুট হওয়া পুলিশ-আনসারের অস্ত্র ও গুলি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।