টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আতঙ্ক

টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আতঙ্ক

টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আতঙ্ক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে সোমবার (২৯ জুলাই) রাতভর মিয়ানমার থেকে সীমান্ত থেকে থেমে থেমে গোলার শব্দ এসেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টারশেল ও গুলির শব্দে এপারের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ভর করেছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড টহল জোরদার করেছে।

সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আসা গোলার শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফের পৌরসভাস্থল জালিয়া ও সুদার পাড়া। সীমান্তে মিয়ানমারের মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ, এপারে সীমান্তের বসবাসকারীদের মাঝে অস্বস্তি বাড়ছে।

রাতভর গোলার শব্দ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রাতে সীমান্তের ওপার থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টারশেলের শব্দ শুনতে পাই। এতে এখানকার মানুষের মাঝে ভয়ভীতি বাড়ছে। ওপারে যুদ্ধ বৃদ্ধির কারণে সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।’

সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফে প্রবল বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্য গত এক সপ্তাহ পর মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির মধ্য যুদ্ধ চলছে। ওপারের যুদ্ধের কারণে এপারে সীমান্তের টেকনাফের নাইট্যংপাড়া, কায়ুকখালীপাড়া, জালিয়াপাড়া, চৌধুরী পাড়া, উত্তর পাড়া, দক্ষিণ পাড়া, কুলালপাড়া, খাংগার ডেইল, নাজিরপাড়া, মৌলভী পাড়া, সাবরাংয়ের মগ পাড়া, আছারবনিয়া, ডেগিল্ল্যা বিল, নয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ায় মর্টারশেল ও বোমার বিকট শব্দে বাড়ি-ঘর কাঁপছে।

কেননা সীমান্তের পূর্ব দিকে মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামে গৃহযুদ্ধ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সীমান্তবর্তী রাখাইনে গোলাগুলি চলমান রয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি রাত-দিন টহল জোরদার রেখেছে।

সীমান্তের কাছাকাছি জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে বড় ধরনের গোলার শব্দ এপারে পাওয়া যাচ্ছে। এ শব্দে আতঙ্কে অনেকের ঘুম ভাঙছে। সীমান্তের ওপারে মংডুতে চলমান যুদ্ধে গোলাগুলি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, ‘ওপারে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো সর্তক রয়েছে। গোলার শব্দে সীমান্তের মানুষরা যাতে নির্ভয়ে থাকে, সেজন্য সীমান্তের বসবাসকারীদের খোঁজখবর রাখছি।’

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।