আবারও বিপদসীমায় কাপ্তাই হ্রদের পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
নিউজ ডেস্ক
সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাঙামাটিতে গত দুদিন সেভাবে বৃষ্টি না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এ জন্য শনিবার আবারও হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছে গেছে।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানা যায়, হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছানোর কারণে ২৫ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিন পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের ১৬টি গেট খোলা ছিল। পানির স্তর ১০৮ এমএসএলের (মিনস সি লেভেল) নিচে চলে আসার পর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে শনিবার দুপুরে হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.৫৩ এমএসএল রেকর্ড করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২১২ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, ‘পানির স্তর আরও একটু বৃদ্ধি পেলে বাঁধের গেট আবারও খোলার বিষয়টি চিন্তাভাবনার মধ্যে রাখা রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সন্ধ্যা বা আগামীকাল সকালে গেট খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের পানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর হ্রদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু ও রাঙামাটি পৌর এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন হ্রদের তীরবর্তী মানুষ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্র থেকে জানা যায়, জেলার লংগদু, বাঘাইছড়ি ৫টি ইউনিয়ন এবং রাঙামাটি পৌর এলাকায় ৯ হাজার ২০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেননি।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।