নিজ্জার হত্যা চক্রান্ত: ভারতের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

নিজ্জার হত্যা চক্রান্ত: ভারতের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

নিজ্জার হত্যা চক্রান্ত: ভারতের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দ্বৈত নাগরিক খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন।

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে খালিস্তানপন্থি শিখ নেতাকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত হওয়া এই ব্যক্তির নাম বিকাশ যাদব (৩৯)। তাকে অভিযুক্ত করার তথ্য বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মামলার আরেক সন্দেহভাজন নিখিল গুপ্তকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়েছিল। আর যাদব এখনও পলাতক।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অভিযুক্তকরণ নথিতে বিকাশকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দ্বৈত নাগরিক খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত ছিল।

এক বিবৃতিতে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ে বলেন, আসামি (যাদব) একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারী। তিনি একজন অপরাধীর সহযোগীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন এবং আমেরিকার মাটিতে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এফবিআই তাদের সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত অধিকার প্রয়োগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সহিংসতা বা অন্যান্য প্রচেষ্টা সহ্য করবে না। বৃহস্পতিবার ভারত সরকার এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

মার্কিন অভিযুক্তকরণের নথিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে পান্নুনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পরিচালনায় ভারতে ও বিদেশে থাকা অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একত্রে কাজ করেছিলেন বিকাশ যাদব। সেই সময় তিনি ভারত সরকারের কর্মচারী ছিলেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যাদব এখন ভারতে আছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাঁর প্রত্যর্পণ চাইবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খালিস্তানপন্থিদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে ভারত। দেশটি তার নিরাপত্তার জন্য খালিস্তানপন্থিদের ‘হুমকি’ হিসেবে বিবেচনা করে।

এদিকে এ ঘটনা নিয়ে ভারত-কানাডা সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটেছে। দুই দেশের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন এমন অনেকের মতে, ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের চেয়েও ভারত-কানাডার সম্পর্ক এই মুহূর্তে বেশি খারাপ। আবার অনেকেই মনে করেন, কানাডা ও ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এখনও অনেকটাই গভীর। ভারত ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ক্রমশ বাড়ছে।

তবে শিখ নেতা হত্যাকাণ্ডে উভয় দেশের বাণিজ্য ও অভিবাসন সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য রয়েছে। এ ছাড়া ১৮ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ কানাডার নাগরিক এবং ১০ লাখ ভারতীয় ওই দেশে বসবাস করেন।

ভারত থেকে লাখ লাখ পড়ুয়া কানাডায় শিক্ষালাভের জন্য যান। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের নথি অনুসারে, ভারতের ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ওই দেশে পড়াশোনা করছেন। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয়দের কাছে কানাডা একটা গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পড়বে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের ওপর।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।