টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতদের হানা!
![]()
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্তত ১০টি ঘরে রোহিঙ্গা ডাকাতরা ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউপির লেদার আলীখালি ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এসব ঘর থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ ও প্রায় দুই লাখ টাকা লুট করেছে বলে জানা যায়। ডাকাতির শিকাররা হলো–টেকনাফের লেদার আলীখালির রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-নাইনের বাসিন্দা নুর হোসেন, আবদুর রহমান, জাকির হোসেন, সায়রা খাতুন, মো. কাসিম, মো. সিরাজুল, রফিক, মো. ইসমাইল, ইমান ও গুড়া মিয়া।
ডাকাতির শিকার নুর হোসেন বলেন, হঠাৎ অস্ত্রসহ মুখোশধারী চারজন লোক ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা অস্ত্র ঠেকিয়ে ঘরে থাকা মালামাল বের করতে বলে। ছোট মেয়ের একটি কানের দুল ছিল। সেটি প্রাণের ভয়ে দিয়ে দেই। পরে শুনেছি, আরো বেশ কয়েকটি ঘরে ডাকাতি হয়েছে। রোহিঙ্গারা জানায়, ডাকাতরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-নাইন এলাকার ১০টি ঘরে হামলা চালায়। প্রতি ঘরে একইসাথে চারজন করে ডাকাত প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ ও টাকা লুট করে নেয়। ডাকাতরা যাওয়ার সময় ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পাহাড়ের দিকে ঢুকে পড়ে। তাদের অধিকাংশের পরনে ছিল লুঙ্গি ও গেঞ্জি। তবে কেউ হতাহত হয় নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গারা জানান, ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতদের দুটি গ্রুপের আস্তানা রয়েছে। এছাড়া গ্রামের সশস্ত্র একটি বাহিনী তাদের সঙ্গে রয়েছে। দিনে পাহাড়ে আর রাতে ক্যাম্পে চষে বেড়ায় তারা। এসব গ্রুপে আবদুল হাকিম, মোহাম্মদ সেলিম, কামাল, মো. আমিন, জুহুর আলম, শাহ নেওয়াজ, জমির আহমদ, জহির আলম ও মো. হাসানসহ দুই শতাধিক সদস্য রয়েছে। তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। এছাড়া খুন, ধর্ষণ, ইয়াবার ব্যবসা, মানবপাচার, অপহরণ অপরাধে তারা জড়িত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ মনির বলেন, ডাকাতির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রোহিঙ্গা ডাকাতরা’ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা যায়।