জাতি-ধর্ম গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতি বজায় রাখতে খেলাধুলার সমকক্ষ আর কিছু নেই- ব্রিগেডিয়ার রাইসুল

নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য অঞ্চলের সকলের মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য এবং এখানে বসবাসরত পাহাড়ী-বাঙ্গালী জাতি-ধর্ম গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের মাঝে সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে খেলাধুলার সমকক্ষ আর কিছু হতে পারে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম বলেছেন, ‘মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য অন্তরে ধারণ করে এবং ‘শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়ন’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে লক্ষ্মীছড়ি জোন কর্তৃক আয়োজিত এই ফুটবল টুর্নামেন্ট অনন্য ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষ্মীছড়িতে লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোন কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরষ্কার বিরতণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খেলোয়াড়, দর্শক ও অতিথিদের মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে এদিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম বলেন, আপনারা সকলে যার যার অবস্থান থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাহায্য ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে আসছেন। ভবিষ্যতেও এর ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আমি আশাবাদী ‘
শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নই অত্র অঞ্চলের সকল স্তরের জনগণের মুলমন্ত্র উল্লেখ করে রিজিয়ন কমান্ডার আরো বলেন, ‘এ অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর জনগণ আজকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করছে বলেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে এবং আমাদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি ১৯৭১ সালে লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে ধারণ করে সম্প্রীতির পাহাড় গড়ে তুলতে সবার সহায়তাও কামনা করেন। এছাড়া, পাহাড়ে যেকোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।
ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ তাজুল ইসলাম, জোনের অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রসাশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবলা দলের কিৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমা, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার জনপ্রতিনিধিগন এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন খেলা শুরু হওয়ার আগেই মাঠ কানায় কানায় দর্শকে পূর্ণ হয়ে যায়। সকল দর্শক আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে খেলা উপভোগ করেন। ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর দুল্যাতলী ড্রাগন স্পোর্টিং ক্লাব দল চ্যাম্পিয়ন এবং পারিকং ক্লাব (বারদোনা) দল রানার আপ হয়।
গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম এদিন অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন, রানার আপ দল এবং শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়কে পুরস্কার প্রদান করেন।
এর আগে, গত ২৪ নভেম্বর হতে সম্প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা এবং ফটিকছড়ি উপজেলার আওতাধীন (বাইন্যাছড়া রাইজিং ষ্টার এবং লেলাং বড়পাড়া ক্লাবসহ) সর্বমোট ১৪ টি দল এই টুর্নোমেন্টে অংশগ্রহণ করে।
এদিকে, বিজয়ের মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের মুলমন্ত্রে সম্প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করায় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সকল স্তরের জনসাধারণ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে লক্ষ্মীছড়ি জোনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, পার্বত্য অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং শিক্ষা বিস্তারসহ খেলাধুলার প্রচার, প্রসার ও উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।