বান্দরবানে ১১টি উপজাতি সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির মিছিল, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের দমনের আহবান

নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে সম্প্রীতির মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে সাবেক পিসিপি নেতা নাথান বমের নেতৃত্বাধীন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট- কেএনএফের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা ও এতে চলতে থাকা সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসন সহ এলাকায় ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ ১২টি সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও ঐক্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে জেলা শহরের রাজার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য সম্প্রীতির মিছিল শুরু হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এ আয়োজন করে।
মিছিলে মারমা, চাকমা, বম, ত্রিপুরা, ম্রো, খুমিসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নানা সাজে অংশ নেয়। বাঙ্গালীদের বিভিন্ন সংগঠন ও ধর্মীয় নেতারাও এতে অংশ নেন। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের দমনে নানা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায় সচেতন বান্দরবানবাসীকে।
এদিন সম্প্রীতির মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনমেলায় পরিণত হয় বান্দরবান জেলা শহর। পরে শহরের শহীদ আবু সাঈদ মুক্ত মঞ্চ চত্বরে একটি পথ নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। এতে পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এলাকায় শান্তি-সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
মিছিল ও পথ নাটক থেকে কেএনএফ দমনে সরকারকে শক্ত অবস্থান গ্রহন করারও আহবান জানানো হয়। এছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনীর জোরালো অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কেএনএফকে নিশ্চিহ্ন করে বান্দরবানে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নেতারা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে নতুন করে সশস্ত্র সন্ত্রাস চালানো কেএনএফের তৎপরতার কারণে গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে বান্দরবানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে করে পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ধস নেমেছে। এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কেএনএফের গুলিতে সাত সেনা সদস্যসহ ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে বেশকিছু কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যকে। সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা চলছে।