বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি বিএসএফের

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি বিএসএফের

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি বিএসএফের
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ সীমান্তে ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিএসএফের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে, যাতে ভারতের উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্তে মহড়া চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বাড়তি নজরদারি ও বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিএসএফ। মূলত ভারতের আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সীমান্তে এই অপস অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে যা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দীর্ঘ এই সীমান্তের দায়িত্বে থাকা সব বর্ডার আউট পোস্টগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। বিএসএফের পরিভাষায় এই নির্দেশনাকে ‘অপস অ্যালার্ট’ বলা হয়েছে।

দেশটির সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটি প্রজাতন্ত্র দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার অংশ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জারি করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তে বারবার মহড়া চালাতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিদ্র করতে হবে। প্রয়োজনে রাতে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া সীমান্তে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন অপারেশনাল পদ্ধতি অনুশীলনের পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলের জনসংখ্যার সাথে পুনর্মিলন কর্মসূচিও পরিচালিত হবে।

বিএসএফের আশঙ্কা, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য ওপার থেকে উস্কানি আসতে পারে। আর বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের ভালো করে বোঝাতে হবে। সেই দায়িত্ব নিতে হবে বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের।

এরই মধ্যে বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের স্পেশাল ডিজি রবি গান্ধী একাধিক বর্ডার আউট পোস্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এদিনের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সীমান্তের একাধিক অংশ রয়েছে যেখানে কাঁটাতার নেই। সবচেয়ে বেশি নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে অরক্ষিত এলাকায়। আগামী সাতদিন এই এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *