বান্দরবানের দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

বান্দরবানের দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

বান্দরবানের দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে উপজেলাটিতে পর্যটক যাতায়াতে আর বাধা রইল না।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রোয়াংছড়ির দেবতাখুম খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা বিবেচনায় রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় সোমবারও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল। তবে এখন পাহাড়ের পরিস্থিতি অনেকটা ভাল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পর্যটন খুলে দেয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সব দেশি বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের জন্য দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হবে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে বন্ধ থাকা অন্যান্য স্থানগুলোও খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জনিয়েছেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে সবশেষ গত বছরের ১৪ মার্চ পাহাড়ে কেএনএফ তান্ডবের কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকটা পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে পাহাড়কন্যা বান্দরবান। পর্যটক না আসায় থমকে যায় জেলার পর্যটন শিল্প। কর্মহীন হয়ে পড়ে হোটেল মোটেলের কর্মচারী পরিবহন শ্রমিক টুরিস্ট গাইড বোট চালকসহ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক।

উল্লেখ্য, বান্দরবানের অন্যতম জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান দেবতাখুম। বান্দরবান জেলা শহর থেকে ৩৩ কিলোমিটার ও রোয়াংছড়ি থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি যেতে হয় কচ্ছপতলি হয়ে। সেখান থেকে দেড় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় এই পর্যটন দেবতাখুম। আর সেখানে পাথরের দু’পাহাড়ের মাঝখানে পাহাড়ি ঝর্ণা ও স্বচ্ছ পানি। অনেক জায়গায় গভীর জঙ্গল ও পাথরের দেয়ালের কারণে সূর্যের আলো পর্যন্ত পৌঁছায় না। খুমের গভীরতা রয়েছে ৫০-৭০ ফুট।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।