বুকফাটা আর্তনাদে মৃত বাংলাদেশি মাকে ভারতীয় মেয়ের শেষবিদায়

বুকফাটা আর্তনাদে মৃত বাংলাদেশি মাকে ভারতীয় মেয়ের শেষবিদায়

বুকফাটা আর্তনাদে মৃত বাংলাদেশি মাকে ভারতীয় মেয়ের শেষবিদায়
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে চলছে উত্তেজনা। এর মধ্যেই সীমান্তে মানবিকতা দেখালো বিজিবি-বিএসএফ। তাদের সহায়তায় সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের জিরো লাইনে বাংলাদেশি মাকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন ভারতে বসবাসরত তার মেয়ে।

মৃত আসিয়া বেগম (৮০) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দেবহাটা গ্রামের মৃত শেখ মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ঘোজাডাঙ্গা জিরো লাইনে বাংলাদেশি মৃত মাকে শেষবিদায় জানিয়েছে ভারতে বসবাসরত মেয়ে।

মৃত্যুর আগে আসিয়া বেগম ভারতে বসবাসরত তার মেয়ের কাছ থেকে শেষবিদায় নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন।

আসিয়া বেগম মেয়ে শরিফা বেগম ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার হরিপুর গ্রামে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন। ৪ দশকেরও বেশি সময় আগে শরিফা বেগমের বিয়ে হয় ভারতে। সে বর্তমানে ভারতের নাগরিক।

আসিয়া বেগমের পোতা ছেলে শেখ মেহেদী হাসান বলেন, মৃত্যুর আগে আমার দাদী আসিয়া বেগম ভারতে বসবাসরত তার মেয়ের কাছ থেকে শেষবিদায় নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তার মৃত্যু হওয়ায় মা-মেয়ের দেখা হওয়া আর সম্ভব হয়নি। তবে আমার দাদী মৃত্যুর পর আমার ফুফু খুব কান্নাকাটি করছিল। তখন আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে বিএসএফ এর সাথে যোগাযোগ করতে বলি। আমরা বিজিবির সাথে যোগাযোগ করি। পররর্তীতে দুই সীমান্ত বাহিনীর আন্তরিকতা এবং মানবিকতার কারণে দাদীর শেষ বিদায়ে আমার ফুফু সামিল হতে পেরেছে। তিনি পরিবারের পক্ষ থেকে দুই সীমান্ত বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

মায়ের শেষ যাত্রার মিলনে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আফজাল হোসেন ও বিএসএফের ঘোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার এসি নবীন কুমার।

ভোমরা বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আফজাল হোসেন বলেন,  বিজিবি ভোমরা ক্যাম্প কমান্ডের কাছে একটি মানবিক আবেদন আসে। তাতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে মারা যাওয়া মাকে শেষবারের দেখতে চান ভারতে বসবাস করা মেয়ে। ‘আমি বিষয়টি সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হককে জানাই। তার অনুমতিতে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের জানালে তারাও এতে সম্মতি দেন। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেয়া হয় মেয়েকে।’

তিনি জানান, আবেগঘন সেই মুহূর্তে উপস্থিত স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ ঘটনা দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে। সীমান্তে বসবাস করা দুদেশের মানুষের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ মানসিকতা তৈরি করবে।’

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।