সীমান্তে নতুন করে ১০০ জায়গায় বেড়া নির্মাণ করবে ভারত

সীমান্তে নতুন করে ১০০ জায়গায় বেড়া নির্মাণ করবে ভারত

সীমান্তে নতুন করে ১০০ জায়গায় বেড়া নির্মাণ করবে ভারত
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে তাদের সীমান্ত বরাবর নতুন করে প্রায় ১০০টি স্থানে বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাশাপাশি চলমান সীমান্ত বেড়া নির্মাণ কাজও অব্যাহত থাকবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মধ্যে তিন দিনব্যাপী মহাপরিচালক-স্তরের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দুই পক্ষ বিশ্বাস ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডারদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের মালদা সীমান্তে বেড়া নির্মাণের সময় বিজিবি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, যা সীমান্ত উত্তেজনা বাড়িয়েছিল।

সীমান্তে বেড়া ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক

বাংলাদেশ-ভারত ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় ও মিজোরামের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত। দীর্ঘদিন ধরেই এই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক চলছে।

একজন ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিন দিনের আলোচনায় উভয় পক্ষ প্রায় ১০০টি নতুন স্থানে বেড়া নির্মাণের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে, পাশাপাশি ভারতের চলমান বেড়া নির্মাণও অব্যাহত থাকবে।

সূত্র জানিয়েছে, নতুন ১০০টি স্থানে বেড়া নির্মাণ প্রায় ৭০-৭২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হবে, যা দুই পক্ষের যৌথ পরিদর্শনের পর শুরু করা হবে। ইতোমধ্যেই ৯২টি স্থানে ৯৫.৮ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ কাজ চলছে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সীমান্ত বেড়ার বিরোধিতা করে আসছে। বাংলাদেশের মতে, এটি ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কর্তৃপক্ষের যৌথ নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে, যেখানে বলা হয়েছে যে আন্তর্জাতিক সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো প্রতিরক্ষা কাঠামো তৈরি করা যাবে না।

তবে ভারত যুক্তি দেখিয়েছে যে, সীমান্ত বরাবর নির্মিত একক-সারি বেড়াটি প্রতিরক্ষা কাঠামো নয়, বরং এটি অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অপরাধ দমন করার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে।

নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের উদ্যোগ

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডারদের মধ্যে একটি নতুন যোগাযোগ লাইন (হটলাইন) চালু করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা সীমান্তে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

এই তিন দিনের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছিল ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথম বিএসএফ-বিজিবি বৈঠক।

নতুন যোগাযোগ লাইন ভারতের কলকাতাভিত্তিক বিএসএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক  এবং ঢাকায় বিজিবির সদর দপ্তরে নিযুক্ত তার সমকক্ষ কর্মকর্তার মধ্যে স্থাপন করা হবে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

বর্তমানে বিএসএফ ও বিজিবির প্রধানদের মধ্যে ‘হটলাইন’ রয়েছে। এছাড়া বিএসএফ-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল ও বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার, বিএসএফ-এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যেও সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

এই যোগাযোগ লাইনগুলো সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা এবং সীমান্ত অপরাধ দ্রুত মোকাবিলার জন্য রিয়েল-টাইম তথ্য ও গোয়েন্দা বিনিময় করতে ব্যবহৃত হয়।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন