সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেনাবাহিনী, ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান

নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার গৌরবময় ঐতিহ্য, পেশাদারিত্ব, নিরলস পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের প্রশ্নাতীত আনুগত্য, সততা ও আত্মত্যাগই এই প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। সামরিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ পুরস্কার ও শাস্তির বিধান রয়েছে, যা বাহিনীর কাঠামোকে দৃঢ় করে রেখেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সাবেক সেনাসদস্য তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত শাস্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন। সেনা সদর এই আবেদনগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে। মানবিকতা ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ইতোমধ্যে সেনা সদরে একটি উচ্চপর্যায়ের পর্ষদ গঠন করা হয়েছে, যা এসব আবেদন পর্যালোচনার কাজ করছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকি ৬৯৬টি আবেদন পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়নের মাধ্যমে নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হলেও সেনাবাহিনী অত্যন্ত আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সকল সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য এবং জাতি তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। সরকার এবং সেনাবাহিনী সাবেক সেনাসদস্যদের যথোপযুক্ত সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায্য দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্রয়োজনীয় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ কারণে নেতিবাচক কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।