নানিয়ারচরে কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে বাঙ্গালি কৃষকদের বাদ দেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের ক্ষোভ

নানিয়ারচরে কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে বাঙ্গালি কৃষকদের বাদ দেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের ক্ষোভ

নানিয়ারচরে কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে বাঙ্গালি কৃষকদের বাদ দেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের ক্ষোভ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচরে ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত “পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস”-এ স্থানীয় বাঙালি কৃষকদের উপেক্ষার অভিযোগে উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠান বর্জন করেছে।

শুক্রবার (১৬ মে) নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ কংগ্রেসে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক মো. হাবিবউল্লাহ।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া ৭০ জন কৃষক ও কৃষানী সকলেই চাকমা সম্প্রদায়ের হওয়ায় স্থানীয় বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর কেউ না থাকায় বিএনপি ও জামায়াত নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অনুষ্ঠান শুরুর আগেই স্থান ত্যাগ করেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার, উপজেলা জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ুম ইসলাম এ ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস ত্যাগ করেন।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, “কৃষি বিভাগের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ, কিন্তু এতে শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা বৈষম্যমূলক। নানিয়ারচরে কয়েক হাজার বাঙ্গালি কৃষক রয়েছে, তাদের উপেক্ষা করে চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যেই পুরো তালিকা সীমাবদ্ধ রাখার ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ। ৫ই আগস্টের ঘটনার পরও এ এলাকায় বৈষম্য চলমান রয়েছে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপু আহমেদ বৈষম্যের অভিযোগ এক পর্যায়ে স্বীকার করে বলেন, “আমাদের প্রতিটি প্রোগ্রামে সাধারণত বাঙ্গালি ও পাহাড়ি উভয় সম্প্রদায়ের কৃষকদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে আজকের অনুষ্ঠানে যারা অংশগ্রহণকারীদের তালিকা প্রস্তুত করেছে, তাদের দায়িত্বে গাফিলতির কারণে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে শোকজ করা হয়েছে।”

স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের এমন একপাক্ষিক বাস্তবায়ন নতুন করে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক বৈষম্য ও অবিশ্বাসের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।