আমাদের দেশে আমরা সবাই বাঙালি- প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ
 
                 
নিউজ ডেস্ক
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, “আমাদের একটা বিশেষ সমস্যা আছে যে, আমরা ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকদের কি নামে অবিহিত করবো এটা ঠিক করতে পারি না। তবে আমাদের দেশে আমরা সবাই বাঙালি। এখানে জাতিসত্ত্বা ভাগাভাগির কিছু নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার সমস্যগুলো এখন চিহ্নিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, মধ্যে ভূমি নিরাপত্তা, অবৈধ অস্ত্র, স্থানীয় কিছু সংগঠনের দৌরাত্ম অন্যতম। আর এসব সমস্যা দূর করতে হলে স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে।
১লা ডিসেম্বর রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভোরের কাগজ পত্রিকা আয়োজিত ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা জানান।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত’র সঞ্চালনায় বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ্ত চাকমা, আসাদুজ্জামান সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুজ্জামান মহসীন (রোমান), খাগড়াছড়ি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেমন্ত ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সরকার সবসময় সজাগ রয়েছে। সরকার সবগুলো গোষ্ঠীকে একসঙ্গে নিয়েই এগোতে চায়। নানা সময়ে বিভিন্ন কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলেও তা থামবে না। আর সীমান্ত আরও সুরক্ষিত করতে পারলে অবৈধ অস্ত্রগুলোর আধিপত্য কমে যাবে। তারা বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর বিভিন্ন সময়ে রাঙামাটির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন হয়েছে, যা পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগের তুলনায় চাঁদাবাজিও অনেক কমে গেছে। তবে এখনো কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। বক্তারা আরো বলেন, প্রায় ৭০০ থেকে ১ হাজার অস্ত্রধারীদের কাছে এ অঞ্চলের মানুষ এখনো জিম্মি। এসব অস্ত্রধারীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে কাজের ব্যবস্থা করা গেলে তা উন্নয়নে ফলপ্রসূ হত। যারা এ চুক্তি করেছে, তারাও অনেকে এখন এ চুক্তির বাস্তবায়ন চায় না উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, একটা সময় যারা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির জন্য এ চুক্তি করেছে বা এ চুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তারা অনেকেই এখন চায় না এ চুক্তি বাস্তবায়ন হোক। কেননা এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ক্ষমতাসীন অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এসময় তারা তিনি রিজার্ভ ফরেস্ট উজাড় করে আবাসন না গড়া এবং বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
